আজ শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫ ||
৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ শনিবার, ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন
ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেড়েছে
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫
ফাইল ছবি
রোয়ানুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: ঈদুল আজহার ছুটি শেষে রাজধানীমুখী মানুষের কর্মস্থলে ফেরা শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশন ও আশপাশের এলাকায় দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের পর আজই ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ সবচেয়ে বেশি।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে একের পর এক ট্রেন কমলাপুরে এসে পৌঁছাচ্ছে। ট্রেন থেকে নামার পর যাত্রীরা সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত যানবাহন, মোটরসাইকেল কিংবা বাসে করে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়েই ঢাকায় পৌঁছাচ্ছে। যদিও ঈদের সরকারি ছুটি শেষ হতে এখনো দুই দিন বাকি, তবে অনেকে এখনই রাজধানীতে ফিরছেন।
প্রতিটি ট্রেনেই দেখা গেছে ভিড়, অনেক যাত্রী দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করছেন। স্টেশনে টিকিট ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। টিকিট না থাকলে যাত্রীদের জরিমানাও করা হচ্ছে। ফিরতি যাত্রীরা জানিয়েছেন, শেষ মুহূর্তের ভিড় এড়াতে আগেভাগেই তারা ঢাকায় ফিরছেন।
অন্যদিকে, এখনো কিছু যাত্রী ঢাকা ছাড়ছেন। তবে শহর ছাড়ার যাত্রায় অতিরিক্ত চাপ নেই। ট্রেনগুলো অনেকটাই ফাঁকা যাচ্ছে।
ঈশ্বরদী থেকে আসা সিল্কসিটি ট্রেনের যাত্রী মো. আল-আমিন হক বাংলানিউজকে বলেন, আজ ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড়। যদিও ছুটি এখনো বাকি, ভিড় এড়াতে আগেই ঢাকায় এলাম। তবে ট্রেন সঠিক সময়ে এসেছে, এটা ভালো লাগছে।
মোহনগঞ্জ থেকে আসা হাওড় এক্সপ্রেসের যাত্রী বলেন, ছুটি শেষে ফিরে এলাম যান্ত্রিক ঢাকায়। পরিবারকে ছেড়ে আসতে কষ্ট হচ্ছে, তবে জীবিকার জন্যই তো আসা। ট্রেনে বেশ ভিড় ছিল, আগেভাগেই চলে এলাম।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের কর্মী কামাল উদ্দিন বলেন, আজ থেকেই ফিরতি যাত্রা পুরোদমে শুরু হয়েছে। প্রতিটি ট্রেনেই দাঁড়িয়ে যাত্রী আসছেন। আগামীকাল থেকে ভিড় আরও বাড়বে।
রাজশাহী থেকে ধূমকেতু ট্রেনে আসা মো. হেদায়েত ইসলাম বলেন, অনেক ভিড় ছিল ট্রেনে। ছুটি বাকি থাকলেও এত ভিড় হবে ভাবিনি। তবে কেউ ছাদে ওঠেননি।
কমলাপুর রেলস্টেশনের লেবার মো. সানোয়ার ইসলাম বলেন, সকাল থেকে দম ফেলার সময় পাচ্ছি না। যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ। শুক্রবার থেকে ভিড় আরও বাড়বে, প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে না।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন কমলাপুর থেকে আন্তঃনগর, মেইল ও কমিউটার মিলিয়ে ৭০টির বেশি ট্রেন চলাচল করছে। এর মধ্যে ৪৪টি আন্তঃনগর ট্রেন। প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
গত ৯ জুন থেকে ফিরতি যাত্রা শুরু হয়েছে। স্টেশনে টিকিট ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। যাত্রীদের নিরাপত্তায় টিকিট যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে এবং র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ রেলওয়ের নিজস্ব বাহিনী নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মো. সাজেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার থেকেই ফিরতি যাত্রা শুরু হয়েছে। তবে আজ থেকে ঢাকামুখী যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। শুক্রবার থেকে ভিড় আরও বাড়বে।
তিনি আরও জানান, সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৭টি ট্রেন ঢাকায় এসেছে এবং ২৮টি ট্রেন ঢাকা ছেড়ে গেছে। ঢাকামুখী ট্রেনগুলোতে অধিকাংশ আসন পূর্ণ ছিল। তবে তিনটি ট্রেন কিছুটা দেরিতে ছেড়েছে—তিস্তা এক্সপ্রেস, বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও কর্ণফুলী এক্সপ্রেস।