গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। ওই ঘটনায় শয়ন শীল (১৯) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দফায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ডাকা হয়েছিল।
শনিবার দুপুর থেকে সদর উপজেলা পরিষদ এলাকা, মহাজন পাড়া, নারিকেল বাগান, চেঙ্গী স্কোয়ার এবং শহীদ কাদের সড়কে দুটি পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সহিংসতার সময় স্বনিভর্র ও নারিকেল বাগান এলাকায় বেশ কিছু দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। অবরোধ চলাকালে জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে টায়ারে আগুন দিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। আলুটিলায় একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং নারানখাইয়া এলাকায় একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয় বলে জানা গেছে। এরমধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় শনিবার দুপুর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি করা ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বর্তমানে ৭ প্লাটুন বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও পুলিশ রাস্তায় টহল দিচ্ছে। এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে রাতে খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ বিহারে নাশকতার প্রস্তুতিকালে তিন যুবককে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, এখন সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তিনি সকলকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানান।