স্পোর্টস ডেস্ক, সিএনএন বিডি ২৪.কম: আগের ম্যাচগুলো মতোই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরার উপলক্ষ্য তৈরি করে দিলেন বোলাররা। কিন্তু ফিল্ডাররা সেগুলোকে হাত ফসকে বের করে দিলেন।
পাওয়ার-প্লেতেই ক্যাচ মিস করলেন অন্তত চারটি। তবুও ম্যাচে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট তুলে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিলেন শরিফুল ইসলাম। কিন্তু স্লিপে ক্যাচ ফেলে দেন সাইফ হাসান। পরের ওভারে অবশ্য আর সুযোগ দেননি লিটন দাস। শেখ মেহেদির বলে স্টাম্পিং করে ফেরত পাঠান আলিক আথানেজকে। ৮ বলে ১ রান করে ফেরেন তিনি।
এরপর অন্তত ফিল্ডাররা তিনবার জীবন দিয়েছেন আরেক ওপেনার আমির জাঙ্গু আর তিনে নামা ব্র্যান্ডন কিংকে। তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আবারও শরিফুলের বলে আমিরের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন বদলি ফিল্ডার তাওহিদ হৃদয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ফিল্ডারদের ওপর ভরসা না করে কিংকে বোল্ড করে ফেরান নাসুম আহমেদ। ৭ বলে ৮ রান করেন কিং।
জীবন পেয়ে বাংলাদেশের বোলারদের বেশ ভালোই শাসন করছিলেন আমির। তাসকিনের এক ওভারেই হাঁকিয়েছিলেন তিন চার আর এক ছক্কা। ভয়ঙ্কর হয় ওঠা আমিরকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ফেরান রিশাদ হোসেন।
১০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
লিটন দাস-জাকের আলী-নুরুল হাসান সোহানদের ব্যর্থতার ভীরে একপ্রান্ত আগলে রাখলেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। অনেকটা নিঃসঙ্গ সেপাইয়ের মতো একাই লড়াই চালিয়ে গেলেন তিনি। ক্যারিয়ারের দশম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির কাছেও। তবে প্রথম শতকটা হাঁকানো হলো না তার।
শতক নাহলেও ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন টাইগার ওপেনার। শেষ ওভারে ফিরেছেন ৬২ বলে ৮৯ রান করে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯ চার আর ৪ ছক্কায়। এই ইনিংসে ভর করে সিরিজে প্রথমবার দেড়শ ছাড়ায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে যোগ করেছে ১৫১ রান।