এর আগে শনিবার দুপুর ১টার দিকে ইটাখোলা-মনোহরদী সড়কের শিবপুর উপজেলার পঁচারবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিকেল ৪টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতরা হলেন–শিবপুর উপজেলার বৈলাব গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ ফকিরের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৪০), শিবপুরের সাতপাড়া গ্রামের রহির ছেলে সিএনজিচালক শাহিন (৩৫), মনোহরদী উপজেলার চকবগাদী গ্রামের সমির উদ্দিনের মেয়ে মারুফা (২৩), রায়পুরা উপজেলার মির্জাচর গ্রামের মোস্তফা (৪৮), ফারুক মিয়া (৫৫) ও তার স্ত্রী নয়নতারা (৫০)।
এর মধ্যে আবু বক্কর সিদ্দিক নরসিংদী সরকারি মহিলা কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক। মারুফা শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী। ফারুক ও নয়নতারা মারুফার হবু শ্বশুর-শাশুড়ি বলে জানান মারুফার ভাই শাহজাহান। মারুফা, ফারুক ও নয়নতারা নরসিংদী সদরে যাচ্ছিলেন ব্যক্তিগত কাজে। এ ছাড়া, কলেজ শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক যাচ্ছিলেন নিজ প্রতিষ্ঠান সরকারি মহিলা কলেজে ডিগ্রি পরীক্ষায় ডিউটি দেওয়ার উদ্দেশ্যে। বাকিরা যাচ্ছিলেন শিবপুরের ইটাখোলায়৷
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নরসিংদীর মনোহরদী থেকে ২ নারীসহ ৫ জন যাত্রী নিয়ে ইটাখোলা-মঠখোলা আঞ্চলিক সড়ক ধরে শিবপুরের ইটাখোলার দিকে যাচ্ছিলো একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। সিএনজিটি শিবপুরের চক্রধা ইউনিয়নের পঁচারবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা মনোহরদীগামী সিমেন্টবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সিএনজি চালকসহ ৫ যাত্রী। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে মোট ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করে।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, নিহত ৬ মরদেহের মধ্যে ৪ জনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। কলেজ শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক এবং সিএনজিচালক শাহিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে আছে৷ এ ছাড়া, এই ঘটনায় সিএনজিচালক শাহিনের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে৷ এছাড়া ট্রাক ও ট্রাকচালক আটক আছে৷