এর আগে শুক্রবার সকালে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখায় ৫৫ জন অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের লক্ষ্যে লিখিত পরীক্ষা ১৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। অফিস সহায়ক পদে ৫৫টি পদের বিপরীতে ১১ হাজার ৩৪১ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়।
প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের আওতাধীন রাজস্ব শাখার অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় শনিবার প্রায় ২২ জন পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতার লেখার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর লেখার মিল পাওয়া যায়নি।
ভাইভাবোর্ডের সামনে তারা স্বীকার করে, তাদের পরিবর্তে প্রক্সি ক্যান্ডিডেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। অর্থাৎ প্রকৃত পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে অন্য কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায়, তাদেরকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির পেছনে বিশাল কোনো সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্তপূর্বক ঘটনার সম্পূর্ণ সত্যতা উদঘাটন করবে মর্মে আশা করা যায়।
এর আগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২২৬ জনকে শনিবার সকালে মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে তাদের লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে তাদের হাতের লেখার অসংগতি দেখা গেলে প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়া ২২ জন পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করে আটক করা হয়। পরে রাতে তাদের গাইবান্ধা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মো. শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, আটক ২২ জন প্রক্সি পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখার পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।