স্পোর্টস ডেস্ক, সিএনএন বিডি ২৪.কম: প্রথম ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যে পিছিয়ে বাংলাদেশ। মাঠের ক্রিকেটে করতে পারেনি লড়াই।
সাত উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে প্রতিপক্ষ। চট্টগ্রাম টেস্টে জয় ছাড়া অন্যকিছু ভাবার সুযোগ নেই স্বাগতিকদের সামনে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্ট শুরু হচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) থেকে। ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০টায়।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলনে মগ্ন বাংলাদেশ। অনুশীলনে সবাই নিজেদের ভুল শোধরাতে কাজ করছেন। তবে, মাঠে সেসবের বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না ইদানিং। তবে, আশা হারাচ্ছে না বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনে এসে আজ তাইজুল ইসলামও শোনালেন আশার বাণী।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তাইজুল বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো হচ্ছে। অনুশীলনে সবাই খুব সিরিয়াস। আগের ম্যাচের ভুলগুলো নিয়ে কাজ করছে। এখানকার (চট্টগ্রামের) উইকেট ঢাকার চেয়ে ভিন্ন। সব বিভাগে (ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং) ভালো করতে পারলে ম্যাচ জেতা যাবে। খেয়াল করলে দেখবেন, আমাদের খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগতভাবে প্রতি ম্যাচেই কেউ না কেউ ভালো করছে। তবে, দল হিসেবে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।’
এই টেস্টের আগে ম্যাচের চেয়ে বেশি আলোচনা নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়ার গুঞ্জন নিয়ে। যা বাংলাদেশ দলের জন্য চ্যালেঞ্জ। একটা সিরিজের মাঝপথে এমন কিছু ছড়ানো, দলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গতবছর তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের মতো দুই সিনিয়রের এমন কিছু সিদ্ধান্তের সরাসরি বাজে প্রভাব পড়ে মাঠের খেলায়। চট্টগ্রাম টেস্টেও তাই ক্রিকেটারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ মনোযোগ ধরে রাখা।
তবে তাইজুল যেভাবে জানালেন, এসব ব্যাপার নিয়ে দলে কোনো আলোচনা হয়নি, বরং সবার নজর ম্যাচের দিকে, সেক্ষেত্রে আশা রাখাই যায়। যদিও, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় আশা রাখার ব্যাপারটি মোটামুটি কঠিন। বিশেষত, ব্যাটিংটা ভোগাচ্ছে পুরো দলকে। চট্টগ্রামে যদি ব্যাটিংয়ের উন্নতি না হয়, তাহলে ফলাফল দিন শেষে শূন্য হলে খুব বেশি অবাক হবে না কেউই। তবু, আশা রাখতে হয়। চিরস্থায়ী অনিশ্চয়তার খেলায় যেকোনো সময় হতে পারে যেকোনো কিছু।
এদিকে, চট্টগ্রাম টেস্টের বাংলাদেশ দলে এসেছে এক পরিবর্তন। তাসকিন আহমেদের বদলে স্কোয়াডে ফিরেছেন খালেদ আহমেদ।