মোঃ মোবারক বিশ্বাস : একমাস পার হলেও অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করতে পারেনি পাবনা থানা পুলিশ। অপহরনের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে অপহৃতার বাবা মোঃ ইশারাত আলী খান।
পাবনা সদর থানার মামলা নং-৩০, তাং-১৬-১০-২০২৪ইং।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার খিদিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীকে একই উপজেলার গোকুল নগর মোঃ আকাত এর ছেলে মোঃ আশিক (২২) দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গসহ আশিকের পরিবারকে জানালে শিশুকে অপহরন ও ক্ষতি করার হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা তার শশুর বাড়ি পাবনা শহরের আটুয়া হাউজ পাড়ার বাড়িতে তাকে রেখে যান। নানা বাড়িতে থাকা অবস্থায় লম্পট আশিক ও তার সহযোগিরা গত ১৩ অক্টোবর সন্ধা ৭টার দিকে শিশুটিকে একটি সিএনজি যোগে অপহরন করে নিয়ে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। এরপর মেয়েকে উদ্ধার করতে না পেরে গত ১৬ অক্টোবর পাবনা সদর থানায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে গোকুলনগর প্রাইমারী স্কুলের পাশে মোঃ আকাত এর ছেলে আশিককে প্রধান আসামী করে ৪জনের নাম উল্ল্যেখ করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের একমাস পেরিয়ে গেলেও শিশুকে উদ্ধার ও প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পাবনা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবার আতংকে দিনপার করছেন। তবে পুলিশ মামলার অন্য ৩ আসামীকে গ্রেফতার করলেও ১জন জামিনে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করছে। ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়ার কারনে আটঘরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে। জিডি নং-১০৯৮, তাং-২০-১০-২০২৪ইং। আরো জানাযায় অপহরনকারী আশিক ইতিপুর্বে এবটি মেয়েকে জোর পুর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। পরে ওই মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করলে পালিয়ে যায়। আশিকের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও ইভটিজিং এর একাধিক অভিযোগ রয়েছে এলাকায়। শিশু অপহরনের ঘটনায় মুল আসামী আশিককে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আরেক লম্পট শিক্ষক আফজাল মাষ্টারের বিরুদ্ধে।