এতে সরকারি হিসেবে অনুযায়ী, কারখানাটির ১১১ জন শ্রমিক নিহত হন। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে কারখানা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হন অন্তত ২০০ জন শ্রমিক।
এক যুগ পার হলেও এখনও সেদিনের দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন অগ্নিকাণ্ডে হতাহত শ্রমিক ও তাদের পরিবার। যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি আহতদের।
চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর তাজরীনের চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেনসহ ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তবে এখনও এই ঘটনায় কাউকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে খুবই ধীরগতিতে। ১০৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। অধিকাংশ সাক্ষীর ঠিকানায় তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় সমন জারি করলেও তারা আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসছে না।
তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসনসহ আর্থিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিলেও দীর্ঘ একযুগে তা বাস্তবায়ন হয়নি।
তাজরীন গার্মেন্টস ট্র্যাজেডির ১২ বছর উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছেন নিহত শ্রমিকদের স্বজন, আহত ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে গতকাল থেকে চলছে প্রতিবাদী নানা কর্মসূচি।