বিনোদন ডেস্ক, সিএনএন বিডি ২৪.কম: টলিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। নানা কারণেই শিরোনামে থাকেন টলিউডের জনপ্রিয় এই নায়িকা।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে প্রেম ও বিয়ে নিয়ে চর্চায় থাকেন অভিনেত্রী। মাত্র ১৬ বছর বয়সে মা হন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। টলিউড ক্যারিয়ার শুরু করতে না করতেই, বিয়ে আর সন্তান। একে একে তিনজন স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও জীবনে এই লম্বা সময়ে মাতৃত্বের দায়িত্বে এক ফোঁটা ফাঁকি দেননি। শ্রাবন্তী নিজেকে গুছিয়েছেন নিজের মা-বাবা, ছেলে ঝিনুক নিয়ে।
বর্তমানে ঝিনুক বড় হয়েছেন। প্রেম করছেন মডেল দামিনী ঘোষের সঙ্গে। হরহামেশাই একসঙ্গে ছুটি কাটাতে যান শ্রাবন্তী, ঝিনুক ও দামিনী। ছেলের প্রেমিকাকে নিয়ে আনন্দবাজারকে অনলাইনকে শ্রাবন্তী বললেন, ‘ঝিনুকের প্রথম প্রেম। এত বছরের প্রেম। আর ওর প্রেমিকা ওর থেকে বয়সে বড়, ফলে অনেক পরিণত। আমি তো ভীষণ খুশি। আমার আর ঝিনুকের অভিভাবক দামিনী।’
শ্রাবন্তীকে আরও বলতে শোনা গেল, ‘ও (দামিনী) আমার থেকে ১০ বছরের ছোট। বোনের মতো। আমাদের সম্পর্কের সমীকরণ খুব সুন্দর।’
প্রেম নিয়ে কোনোদিনই সেভাবে লুকোছাপা করেননি দামিনী আর ঝিনুক। ভালোবাসার সম্পর্কে শিলমোহর দিয়ে ফেলেছিলেন ২০২১ সালের ১ জানুয়ারিতে। যদিও তার অনেক আগে থেকেই শ্রাবন্তীর বাড়িতে আনাগোনা দামিনীর। অন্যদিকে, ছেলে ঝিনুকের প্রেম নিয়ে যখনই কোনো প্রশ্ন এসেছে, মন খুলে জবাব দিয়েছেন শ্রাবন্তী।
প্রথমে পরিচালক রাজীব কুমার বিশ্বাসকে ভালোবেসে বিয়ে করে নেন শ্রাবন্তী। সেই সম্পর্ক সুখের না হলেও, পেয়েছিলেন জীবনের সেরা উপহার। কোলে এসেছিল ছেলে ঝিনুক।
বর্তমানে ঝিনুকের বয়স ২১-এর আশেপাশে। অন্য দিকে, দামিনী ২৭। এর আগে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ঝিনুক আর দামিনী যদি কখনো লিভ ইন করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলেও কোনো সমস্যা থাকবে না তাঁর। শ্রাবন্তীর মতে, ‘আমার কোনো আপত্তি নেই। কোনো ব্যাপারই না। যে যেটাতে ভালো থাকে, সেটাই করা উচিত। কারণ দিনের শেষে জীবন তো একটাই।’
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। রাজীব ও শ্রাবন্তীর একমাত্র ছেলে ঝিনুক। বিয়ের প্রায় ১৫ বছর পর প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় নায়িকার। সে বছরই মডেল কৃষ্ণ ভি রাজের সঙ্গে আইনি বিয়ে সেরে ফেলেন শ্রাবন্তী। এক বছরের মধ্য মধ্যেই ভেঙ্গে যায় সে সম্পর্কও। এরপর তিন বছর পর রোশনের সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে রোশন সিংহকে বিয়ে করেছিলেন শ্রাবন্তী। এটি ছিল অভিনেত্রীর তৃতীয় বিয়ে। সেটাও ভেঙে যায় বছর গড়াতেই।