বিনোদন ডেস্ক, সিএনএন বিডি ২৪.কম: চিত্রনায়িকা কানিজ রাবেয়া রথি ঢালিউডে চাঁদনী নামে পরিচিত। নব্বইয়ের দশকে ‘আনন্দ বিচিত্রা ফটো সুন্দরী’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হন তিনি।
পরে এফডিসির নতুন মুখের সন্ধান প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া স্মার্ট হিরো আমিন খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত ‘অবুঝ দুটি মন’ সিনেমায় অভিনয় করেন রথি ওরফে চাঁদনী। তবে নব্বইয়ের দশকে ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আগে সুভাষ দত্তের ‘আগমন’ ছবিতে অভিনয় করেন রথি। এই ছবিতে অভিনয়ের সময় তিনি স্কুলে পড়তেন।
এরপর ‘অবুঝ দুটি মন’ সিনেমা মুক্তির আগেই রথির প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় নগরবাউল জেমসের সঙ্গে। এমনকি ‘অবুঝ দুটি মন’ মুক্তির বছর দুয়েক আগে, ১৯৯১ সালের ১৭ নভেম্বর তাদের সম্পর্ক গিয়ে গড়ায় স্বামী-স্ত্রীতে। তবে বিয়ের পর সিনেমা ‘না’ করার শর্ত জুড়ে দেন ব্যান্ড তারকা জেমস। তার কথা মেনে সিনেমা ছাড়েন রথি। তার সাথে ১১ বছর সংসার করেন জেমস। দুজনের ঘর আলো করে জন্ম নেয় দুই সন্তান। এরপর ২০০২ সালে রথিকে না জানিয়ে বেনজির সাজ্জাদ নামে এক ভক্তকে বিয়ে করেন জেমস। যার দরুণ বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গিয়ে গড়ায়।
তবে, রথির নয় বেনজিরের বাবার মামলায় জেলে যান জেমস। ওই বিয়ের জেরে ২০০৩ সালে বিচ্ছেদ হয় জেমস-রথির। পরবর্তীতে ২০১০ সালে কানাডা প্রবাসী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বীপুর সঙ্গে ফের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও টেকেনি রথির সে সংসারও।
এদিকে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘দুই সন্তানের খোঁজ নেন না জেমস’ এমন সংবাদভিত্তিক ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে রথি দাবি করেন, দুই সন্তান আবরার আলভী দানিশ ও জান্নাতুল ফেরদৌসের কোনো খোঁজ নেন না জেমস। অথচ সবখানে বলে বেড়ান, সন্তানদের সবকিছুই তিনি চালান।
তিনি বলেন, প্রথমে হঠাৎ হঠাৎ মন চাইলে ফোন করত, এরপর আর কোনো যোগাযোগ নেই। অনেক আগে হাই–হ্যালো হতো, এখন তো তাও নেই। ঈদের মতো উৎসবে যেমন খবর নিত না, তেমনি ছেলেমেয়েদের জন্মদিন শুভেচ্ছা পর্যন্ত জানাত না।
এর আগে, করোনা মহামারীর সময় রথি সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই করোনায় সন্তানদের একটিবার খোঁজ নেয়নি। মেয়েটা কিছুদিন আগে এসএসসি পাস করেছে, ফলাফল বাবাকে হোয়াটসঅ্যাপে জানায়, এসএমএস দেখেছে, কিন্তু কোনো উত্তর দেয়নি। একটা উইশ পর্যন্ত করেনি।
পরে রাজধানীর বেইলি রোডে একটি ফুডকোর্ট চালু করেছেন রথি। সেইসঙ্গে অনলাইনে নিজের ডিজাইন করা পোশাকও বিক্রি করছেন। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে রথি বলেন, আমি বেশ ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। এখন যা করছি, খুবই উপভোগ করছি। আনন্দ নিয়েই করছি।
নিজের সন্তানদের প্রসঙ্গে বছর দুয়েক আগে তিনি বলেন, সন্তানদের নিয়ে ভালোই আছি। আমার ছেলে ফ্রিল্যান্স ভিডিও মেকিংয়ের কাজ করে। ইউএনএ’র সঙ্গে যুক্ত হয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়েও কিছু কাজ করেছে। মেয়ে তো এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে।