এটি ধরে রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ফেব্রুয়ারি মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রমজান শুরুর আগে ছিনতাইয়ের যে গতি ছিল পুলিশের তৎপরতায় তা অনেকাংশে কমে এসেছে। এটি ধরে রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আপনাদের আন্তরিক চেষ্টা, মেধা ও অফিসার ম্যানেজমেন্টের কারণে এ সফলতা অর্জিত হয়েছে। সহায়ক পুলিশরাও পুলিশের মতো গ্রেপ্তার ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। এ ব্যাপারে থানা-পুলিশ তাদের সহায়তা করবে।’
সাজ্জাত আলী বলেন, জিডি অ্যান্ট্রি হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ রেসপন্স করবে এবং ঘটনাস্থলের ফ্ল্যাশ রিপোর্ট প্রদান করবে।
অপরাধ প্রতিরোধে মোটরসাইকেল টহল বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, অলিগলিতে মোটরসাইকেল টহল আরও বাড়ানো হবে। গ্রেপ্তার পরোয়ানা ও সাজা পরোয়ানা তামিলে জোর দিতে হবে। আসন্ন ঈদে পুলিশের পাশাপাশি মহানগরবাসীকে নিজ নিজ বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের অধিকতর নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিগত কয়েকদিনে চিহ্নিত অনেক ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজন্য মহানগরীর ছিনতাই পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। ছিনতাইকারীদের কোনো পেশা নেই, তাই তারা এরকম অপরাধ করে থাকে। আসন্ন ঈদে গাবতলী, মহাখালী এলাকায় ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম বেশি হতে পারে, এ ব্যাপারে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ঈদ উপলক্ষে অনেক বাড়ি ও মার্কেট খালি থাকবে। বিভিন্ন মার্কেট বিশেষ করে স্বর্ণের মার্কেটগুলোতে পুলিশের টহল বাড়াতে হবে। চুরির ঘটনা প্রতিরোধে আবাসিক এলাকায় রাত্রিকালীন টহল বাড়াতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ করিম বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দাবী-দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী রাস্তায় নেমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এসব বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।