সংলাপের শুরুতে আলী রীয়াজ বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মত-পার্থক্য দূর করে যে সমস্ত জায়গায় সবাই একমত আছে তার ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি করা যাবে। জাতীয় সনদ তৈরির মাধ্যমে জাতির যে রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা, সেই দিকে অগ্রসর হতে পারব।
তিনি জানান, কমিশনের মেয়াদ জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত হওয়ায় তার আগেই প্রাথমিক আলোচনা শেষ করে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ সময় আলী রীয়াজ বলেন, আমরা সকলেই একপক্ষ। চেষ্টা করছি রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য। আমাদের লক্ষ্য এক, যদিও পথের ক্ষেত্রে সামান্য ভিন্নতা আছে। যে ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসনকে দূর করা গেছে, সেই ঐক্যের জায়গায় যেন আবার পৌঁছাতে পারি।
সংলাপে অংশগ্রহণ করেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত সংস্কারের বেশিরভাগ বিষয়েই তার দল একমত। তিনি বলেন, সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন হলে তা জনবান্ধব সরকার গঠনে সহায়তা করবে।
আওয়ামী লীগকে ’ফ্যাসিবাদী দল’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিজম যাতে বাংলাদেশে দাঁড়াতে না পারে, সেই আওয়ামী লীগকে বাতিল করা এবং তাদের ফ্যাসিজমকে বাতিল করাই বড় সংস্কার।
ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে এনডিএমের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এই সংলাপে অংশ নেয়।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংলাপের বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানার পর প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা দিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তাব তৈরি করা হবে, যা একটি জাতীয় সনদের ভিত্তি তৈরি করবে।