আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) ইনামুল হক।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের ছাড়াও রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন করা হয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে।
ইনামুল হক বলেন, বিজ্ঞ আদালত, বিজ্ঞ প্রসিকিউশন অথবা তদন্তকারী সংস্থার অনুরোধের প্রেক্ষিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এনসিবি শাখা ইন্টারপোলে রেড নোটিশ আবেদন দাখিল করে থাকে। মামলা ও তদন্তে প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই আবেদন করা হয়ে থাকে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করতে ইন্টারপোল সহযোগিতা করে থাকে, তবে বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেলেও তা ইন্টারপোলকে জানানো হয়। রেড নোটিশ জারির বিষয়টি ইন্টারপোলে প্রক্রিয়াধীন আছে।
গত বছরের নভেম্বরে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলের কাছে রেড অ্যালার্ট জারির জন্য আবেদন করতে পুলিশ সদর দপ্তরকে অনুরোধ করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেনজীরের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয়।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, শেখ হাসিনাসহ যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে করা আবেদনে আর্থিক অপরাধের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে করা আবেদনে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য-উপাত্ত যুক্ত করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা ও বেনজীর আহমেদ ছাড়া অন্য ১০ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে এনসিবি থেকে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয় ১০ এপ্রিল। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরে নথিপত্রসহ চিঠি পাঠায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়।
এনসিবি যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন করেছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালত থেকে বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।