তোফায়েল আহম্মেদ, নিজস্ব প্রতিনিধি : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছেন। কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ ঢাকায় আসবেন তিনি।
গুলশানের ৮০ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়ি ‘ফিরোজা’য় আসবেন সরাসরি। বাড়িটির চারদিকে দেওয়াল ঘেরা, সামনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের জন্য কক্ষ। পালাক্রমে বাড়ি পাহারা দিচ্ছেন পুলিশ এবং চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরা। বাসভবনের ভেতরের সবগুলো কক্ষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও শেষ হয়েছে। সামনের সবুজ আঙিনা ফুল গাছের টব দিয়ে সাজানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ম্যাডামের বাসা পুরোপুরি প্রস্তুত আছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির সরবরাহ, বাসার আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সাজসজ্জা কোনো কিছুই বাদ নেই। ম্যাডামের স্বজনরা সবকিছু তদারকি করেছেন। এখন আমরা সবাই ম্যাডামের অপেক্ষায় আছি।
লন্ডন থেকে বেগম খালেদা জিয়া তার দুই পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথিকে সঙ্গে নিয়ে আসছেন। লন্ডনে অবস্থানরত তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, স্থানীয় সময় ১৬টা ১০ মিনিটে হিথরো বিমানবন্দর থেকে কাতারের আমিরের দেওয়া রাজকীয় বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) ম্যাডাম রওনা হবেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, লন্ডন থেকে ঢাকার যাত্রাপথে কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতি আছে। শিডিউল অনুযায়ী লন্ডন থেকে যাত্রা করে দোহা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছাবে স্থানীয় সময় রাত আড়াইটায়।
বেগম খালেদা জিয়া এই মুহূর্তে কেমন আছেন জানতে চাইলে এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আল হামদুলিল্লাহ। তিনি আগের চাইতে ভালো আছেন। আমরা আশা করছি, যথাসময়েই ম্যাডাম হিথ্রো বিমানবন্দরে গিয়ে বিমানে উঠতে পারবেন। দেশবাসী দোয়া করবেন ম্যাডাম যেন ভালোভাবে দেশে পৌঁছাতে পারেন।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫ জানুয়ারি থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে তাঁর ছেলে তারেক রহমানের বাসায় লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।