পাল্লেকেলেতে আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ মাঠে নেমেছে ইতিহাস গড়ার প্রত্যয় নিয়ে। জিতলেই লঙ্কানদের মাটিতে প্রথমবার তাদের সিরিজ হারানোর আনন্দে ভাসবেন মিরাজ-শান্তরা। এমন ম্যাচে জয়ের হাসি হাসতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৮৬ রান।
পাল্লেকেলেতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান তোলে স্বাগতিকরা।
ইনিংসের শুরুতে বাংলাদেশি বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি লঙ্কান ওপেনিং। ৩.১ ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের বলে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন নিশান মাদুস্কা। ৬ বলে ১ রান করে ফেরেন এই লঙ্কান ওপেনার। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন কুশল ও নিশাঙ্কা। সেটি ভাঙেন তানভীর ইসলাম। ৩৫ রান করা নিশাঙ্কাকে পারভেজ হোসেন ইমনের ক্যাচ বানান তানভীর।
২১তম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ফেরেন কামিন্দু মেন্ডিস। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরার আগে ২০ বলে ১৬ রান করেন তিনি। তৃতীয় উইকেট পর্যন্ত পাল্লেকেলেতে দুই দলই সমানভাবে লড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে কুশাল ও আসালাঙ্কা রানের গতি বাড়িয়ে তুলেছে। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর থেকে মারমুখী হয়ে ওঠেন কুশল।
অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসের ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। এই দুজনের জুটিতে ৩৮ ওভারে স্কোরবোর্ডে ২০০ রান তুলে ফেলে লঙ্কানরা। লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা ৬০ বলে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি।
আসালাঙ্কাকে বেশিদূর যেতে দেননি তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের বলে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে লঙ্কান অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান। ভাঙে কুশলের সঙ্গে ১২৪ রানের জুটি।
ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরির দেখা পান কুশল মেন্ডিস। সেঞ্চুরি করতে খেলেছেন ৯৫ বল। বাংলাদেশের বিপক্ষে এর আগের একবার শতরানের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। শামীম হোসেন পাটোয়ারীর বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১১৪ বলে ১৮ চারে ১২৪ রান করেন কুশল।
শেষ দিকে ওয়ানিন্দু হাসারাঙার ১৪ বলে ১৮ রানে ভর দিয়ে লড়াকু পুঁজি দাঁড় করায় লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন ও মিরাজ দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে পান তানজিম সাকিব, তানভীর ও শামীম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা : ৫০ ওভারে ২৮৫/৭ (নিশাঙ্কা ৩৫, মাদুস্কা ১, কুশল ১২৪, আসালাঙ্কা ৫৮, লিয়াঙ্গে ১২, ভেল্লালাগে ৬, হাসারাঙ্গা ১৮*, চামিরা ১০*; তাসকিন ১০-৫১-২, মিরাজ ১০-৪৮-২, তানভীর ১০-৬১-১, তানজিম ৬-৪১-১, শামীম ৪-৩০-১, মুস্তাফিজ ১০-৫২-০)