আজ সোমবার (২১ জুলাই) ভোররাতে রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত মোমেনা বেগম সায়দাবাদ গ্রামের আক্তার হোসেনের স্ত্রী। গুলিবিদ্ধ আহতরা হলেন- সায়দাবাদ গ্রামের মোতালিব মিয়ার ছেলে তাজু (৩৮), মৃত কালু মিয়ার ছেলে কফিল উদ্দিন (৫৫) এবং আলম মিয়ার ছেলে রানা (২০)। তারা সবাই স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সায়দাবাদ এলাকার হানিফ মাস্টার গ্রুপ ও এরশাদ গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতাকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এর আগে একাধিকবার দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি, হামলা ও মামলার ঘটনাও ঘটে।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২১ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে এরশাদ গ্রুপের সমর্থকরা টেঁটা, বল্লম, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ককটেল নিয়ে হানিফ মাস্টার গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ মোমেনা বেগমকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এলাকায় থেমে থেমে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) প্রবীর ঘোষ জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।