প্রথম ম্যাচের পর পাকিস্তানের প্রধান কোচ মাইক হেসন সমালোচনা করেছিলেন এই উইকেটের। তবে বাংলাদেশ মনে করছে উইকেট বুঝে পরিকল্পনা করেই জিতেছে তারা।
টি-টোয়েন্টি মানেই এখন হাই-স্কোরিং ম্যাচ, সেখানে মিরপুরে প্রথম ম্যাচে ১১০ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১২৫ রানে অলআউট হয়েছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুতে ১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তো রীতিমতো লজ্জায় পড়ে গিয়েছিল তারা। প্রথম ম্যাচের পর মাইক হেসন বলেছিলেন এমন পিচে খেলে ব্যাটারদের উন্নতি করা সম্ভব নয়।
দ্বিতীয় ম্যাচে দুটি দলই পাওয়ার-প্লেতে দ্রুত উইকেট হারিয়েছে। প্রথম ৬ ওভারের মধ্যে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারায় এবং পাকিস্তান ৫ উইকেট হারায়।
টি-টোয়েন্টিতে এখন ২০০ বা তার কাছাকাছি রানের ইনিংস খুব সহজেই দেখা যায। মিরপুরের উইকেটে যেখানে ১৫০ রান উঠছেনা, সেখানে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের পরিকল্পনা কেমন হতে পারে সেই প্রশ্ন থেকে যায়। মিরপুরে সর্বশেষ ৬ ম্যাচের ৫টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, তবে এর একটিতেও ১৬০ রান করতে পারেনি তারা।
ম্যাচসেরা হয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশি ব্যাটার জাকের আলী অনিক লো স্কোরিং ম্যাচ নিয়ে কথা বলেছেন। দলের পরিকল্পনাও সেই অনুযায়ীই সাজোনো হয়েছিল। জাকের আলী অনিক ৫৫ রান করতে খেলেন ৪৮ বল। টি-টোয়েন্টি অনুযায়ী তার ইনংসটিও ছিল ধীরগতির।
ম্যাচ শেষে জাকের বলেন, ‘আমরা নিজেদের প্রক্রিয়া ধরে এগিয়েছি। উইকেটের আচরণ বা এসব নিয়ে ভাবিনি। এখানে কন্ডিশন ব্যাটিং সহায়ক না, বড় রানের উইকেট নয়। এটা মেনে নিয়ে সেভাবেই খেলি। এখানে খেলার মূল মন্ত্র এটাই। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের এটি মানতে হবে, উইকেট-কন্ডিশনের পরিস্থিতি বুঝে খেলতে হবে।’
জাকের আরো বলেন, ‘আজকের (গতকালের) উইকেটে আমার মনে হয়, ১৫৫-৬০ রান হওয়া সম্ভব ছিল, যদি আমরা আদর্শ ব্যাটিং করতে পারতাম। আমি ব্যাটিংয়ে যাওয়ার আগে অধিনায়ক বলেছে, যেহেতু দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেলেছি, ১৪০ রানের জন্য যেন খেলি। আমরা ৬ রান কম করেছি। শেষেরটা ছক্কা হলে হয়ে যেতো। দলের চাওয়া ম্যাচ জেতা। এখানের উইকেট, পরিস্থিতি দাবি করছে ১৪০-১৫০ রানের, আমরা সেভাবেই খেলি। এখন সিলেটে খেললে হাই স্কোরিং ম্যাচ হবে। যেরকম পরিস্থিতি, সেভাবেই খেলতে হবে। দিন শেষে ম্যাচ জিততে হবে।’