সেই সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করে দেন আদালত।
এর আগে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মোবারক হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
তার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দু’টি প্রমাণ হয়। এরমধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে মোবারক হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
পাশাপাশি ৩ নম্বর অভিযোগে মোবারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া অপর তিনটি অভিযোগ (২, ৪ ও ৫ নম্বর) প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়। এরমধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে আখাউড়ার টান মান্দাইল গ্রামের ৩৩ জনকে গঙ্গাসাগর দীঘির পাড়ে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ৩ নম্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী আব্দুল খালেককে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন মোবারক হোসেন। গত ৮ জুলাই তার করা আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।
ট্রাইব্যুনালের রায় থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মোবারক হোসেন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। স্বাধীন দেশে জামায়াতের ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘রুকন’ হন তিনি। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন মোবারক।