উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিয়ে একটু সমস্যা চলছে। আমরা এ বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেখানে নাগরিক সেবা যেভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে এখন আর বসে থাকার সুযোগ নেই। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ে আমরা সতর্ক আছি। এ নিয়ে আমরা খুব দ্রুত বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা জানেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কিছু সমস্যা চলছে। তার পরও আমরা বাইরে থেকে যতটুকু পারছি কাজ করছি।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, কিছু এলাকার প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অবকাঠামোগত উন্নয়নে বৈষম্যের শিকার হয়েছে। সেসব এলাকায় আমরা উন্নয়নে জোর দেব। শিক্ষা ও দারিদ্র্যের হার উত্তরবঙ্গের দিকে কিছুটা বেশি। তাদের প্রতি আমাদের কিছু প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এসব এলাকায় গুদাম না থাকায় কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছে না ফসলের। ফলে আমরা সেসব এলাকায় গুদাম নির্মাণ এবং প্রক্রিয়াকরণ জোনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করব। তিস্তা নদীর ভাঙনের ফলে যারা গৃহহীন হয়েছে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রিভিলেজের কারণে কোনো এলাকায় বেশি উন্নয়ন আর কোনো এলাকায় কম উন্নয়ন যাতে না হয়—সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। এমনটা যাতে আর না হয়। আমরা দেখেছি গোপালগঞ্জের একটি উপজেলায় গেলে দেখা যাচ্ছে কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে আর রংপুরের আরেকটি উপজেলায় কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার খুব অল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব নিয়েছে। সুতরাং এই অল্প সময়ে লাইব্রেরি স্থাপনের মতো এ রকম উদ্যোগ নেওয়া খুব চ্যালেঞ্জিং। আমরা মাত্র ২৩ কোটি টাকায় সারা দেশে ১১টি জেলার ৪৪টি পাবলিক লাইব্রেরি করছি। আমরা খুব দ্রুত দেশের সব উপজেলায় পাবলিক লাইব্রেরি করার প্রকল্প হাতে নেব। আমরা এমন একটা লাইব্রেরি করতে চাই, যেখানে সবাইকে আসতে আগ্রহী করবে। অন্য সরকারি ভবনের মতো পড়ে থাকবে না।