বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, সিএনএন বিডি ২৪.কম: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তারা আগামী সপ্তাহে আলোচনা করবেন। যদিও তেহরান জোর দিয়ে বলেছে, তারা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগ করবে না।
পারমাণবিক আলোচনা ও হামলার প্রেক্ষাপট
তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আমেরিকা ও ইরান বেশ কয়েক দফা আলোচনায় লিপ্ত হয়েছিল। কিন্তু ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানোর আগে আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।
ইসরায়েল বলেছ, ইহুদি রাষ্ট্র ধ্বংস করার ঘোষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে বিরত রাখতে এই অভিযান প্রয়োজনীয় ছিল। ২২ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নাতানজ, ফোর্ডো ও ইসফাহানে গুরুত্বপূর্ণ ইরানি পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান আলোচনার টেবিলে ফিরে আসবে। তবে এটি স্পষ্ট নয় যে, বৈঠকগুলো পূর্ববর্তী পারমাণবিক আলোচনায় ফিরে আসবে নাকি তারা একটি ‘ব্যাপক শান্তি চুক্তি’ কেন্দ্রীভূত হবে, যেমনটি হোয়াইট হাউসের দূত স্টিভ উইটকফ বুধবার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের ‘একটি দুর্দান্ত জয়’ হয়েছে বলে ট্রাম্প ন্যাটো সম্মেলনে দাবি করেন। তিনি উভয় পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে রাজি করিয়ে ইরান ও ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘কারণ তারা উভয়ই ক্লান্ত। ১২ দিনের তীব্র লড়াইয়ের পর তারা ক্লান্ত।’
ট্রাম্প বলেন, ‘ইরান সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছে, তেহরান কিছুটা (খুব বেশি নয়) যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। আমি আর তাদের পারমাণবিক কার্যক্রমে জড়িত হতে দেখছি না।’
ইরানের সঙ্গে পরিকল্পিত আলোচনার দাবির পাশাপাশি ট্রাম্প আবার জোর দিয়ে বলেন, তিনি এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনা যারা দেখেছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তারা বলেছে— ‘জায়গাটি ধ্বংস হয়ে গেছে।’ ‘আপনি ভূগর্ভস্থ স্থানের সুড়ঙ্গে প্রবেশ করতে পারবেন না’।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘কোনো উপায় নেই যে আপনি সেখানে নামতে পারেন। পুরো জিনিসটি ভেঙে পড়েছে ও একটি বিপর্যয় ঘটেছে। আমি মনে করি সমস্ত পারমাণবিক জিনিসপত্র সেখানে রয়েছে কারণ এটি অপসারণ করা খুব কঠিন।’