এ ছাড়া, বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করতে ভারত অপেক্ষায় আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্য সম্পর্কিত যে সংশোধনীগুলো ভারত ঘোষণা করেছে, সেগুলো বাংলাদেশের তরফ থেকে ন্যায্যতা, সমান আচরণ এবং পারস্পরিকতা নিশ্চিত করার আগ্রহের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বিষয়গুলোর সমাধানের জন্য বাংলাদেশের অপেক্ষায় আছি। এই বিষয়গুলো ভারত বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের বৈঠকসহ বিভিন্ন বৈঠকে এর আগেও উত্থাপন করেছে।
দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন নদী সংক্রান্ত বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, গঙ্গাসহ দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। এটিসহ সব প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য দুই দেশের মধ্যে যৌথ নদী কমিশন আছে। এ ছাড়া, এ ধরনের বিষয়ে আমাদের সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও পরামর্শ করা হয়। অনুকূল পরিবেশে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে কাজ করতে প্রস্তুত।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেতে একটি মন্দির ভাঙার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটায় আমরা মর্মাহত। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, দেশটির হিন্দুদের, তাদের সম্পত্তি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সুরক্ষা দেওয়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।