দুঃখজনক হলেও কেউ হতাহত হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ জামাল হোসেনের ছেলে শাহ আজম, যিনি ২০১৯ সালে মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে আত্মসমর্পণ করেন এবং কারাবাস শেষে মুক্তি পান। ২০২১ সালে আবারও এক লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন তিনি।
ভিডিওতে দেখা গেছে, সেলিম নামের এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলে পেট্রোল ঢালছেন এবং শাহ আজম আগুনের মশাল হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। পেট্রোল ঢালার কিছুক্ষণ পর মোটরসাইকেলে আগুন ধরে যায় এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আশেপাশের যুবকরা পানি ও বালি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। শাহ আজমের জন্মদিন উপলক্ষে 'থার্টি ইয়ার্স' লেখা ফুটিয়ে তোলা হয়।
পরবর্তীতে শাহ আজম একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, আগুন লাগানো ছিল পরিকল্পিত নয় এবং ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ ভিডিও বানাবে না, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বেলাল হোসেন পুরো আয়োজনের ভিডিও ধারণ করেন। অন্য কন্টেন্ট ক্রিয়েটর লোকমান জানান, এই ধরনের ভিডিও তৈরির সময় প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল, তবে তারা আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছেন।
শাহ আজম সামাজিক মাধ্যমে মানবিক কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভিডিও শেয়ার করেন। ফেসবুকে তার প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার ফলোয়ার এবং ইউটিউবে হাজার খানেক সাবস্ক্রাইবার রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বলেন, জনসমক্ষে দাহ্য বস্তু ব্যবহার করে আগুন লাগানো আইনগত অপরাধ এবং শীতকালে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে, যা বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনতে পারতো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, শাহ আজমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ময়মনসিংহে আরেক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আল আমিন শীতকালীন ভিডিও বানানোর সময় অগ্নিদগ্ধ হন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।