সালাউদ্দীন আহম্মেদ, পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ শীতের সকাল। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পুরো এলাকা।
শিশিরে ভেজা সমস্ত বৃক্ষ লতা। এরই মাঝে সকালের সোনা ঝরা রোদ পড়ে ঝলমল করছে পোরশার বিস্তৃত সরিষা ক্ষেত গুলো। এ যেন এক হলুদে মোড়ানো সাজানো ফুলের বাগিচা। কোথাও সুবজ আবার কোথাও হলুদের ছাড়াছড়ি। এমনি নয়ন জুড়ানো সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে পোরশা উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ।
এরই মাঝে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছিরা দল বেধে মধু আহরণে ব্যবস্ত সময় কাটাচ্ছে। যে কারো চোখ জুড়িয়ে যাবে এমন হলুদ ও সবুজের সমারোহ দেখে। বৃহস্পতিবার উপজেলার নিতপুর পশ্চিম ডুবা মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।
পুণর্ভবা নদীর দু‘পাড় সহ পুরো মাঠেই সরিষার চাষাবাদ করেছেন এখানকার চাষীরা। যদিও গত বছর বোরো মৌসুমে রোপা আমন ধান নিয়ে আগাম বন্যার কারণে অনেকটা ক্ষতির মুখে পড়েছিল চাষীরা। একই সাথে পুণর্ভবা নদীতে একটি ব্রিজ না থাকায় সময় মতো পাকা ধানও ধরে তুলে পারেন নি চাষীরা। সেই ক্ষতি কিছুটা পোষিয়ে নিতে এবার মৌসুমের শুরু থেকেই কোমর বেঁধে সরিষা চাষাবাদে মাঠে নেমেছেন এখানকার চাষীরা।
এবার উপজেলার গাইনর বিল ও নিতপুর পশ্চিম ডুবা বিলকৃষ্ণসদা মাঠে সব চেয়ে বেশি সরিষা চাষাবাদ করেছেন চাষীরা। আর সার্বক্ষনিক কৃষকদের পাশে থেকে কৃষি প্রণোদনা ও সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে এবছর উপজেলার ১২শ জন কৃষককে সরিষার বীজ এবং ডিএপি ও এমওপি সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে এবছর এ উপজেলায় ৩হাজার ৫শত ৫০হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ করেছেন চাষীরা। আর এতে সরিষার লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫হাজার ৩শত২৫ মেট্রিক টন।
এদিকে স্থানীয় কয়েকজন চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর অনেকটা আগ্রহ নিয়ে সরিষা চাষাবাদ করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন হবে এবং ভালো দাম পাবেন বলেও আশা করেন তারা।