শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ ও নড়িয়া উপজেলার প্রায় ২৫টি বোরো ব্লকে পানির সেচ দেওয়ার একমাত্র খালে বাঁধ দিয়ে রাস্তায় মাঠি তুলছেন ভেদরগঞ্জ পৌরসভা। বাঁধের কারনে এক মাসের বেশী সময় ধরে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে কৃষক জমিতে সেচর পানি দিতে না পারায় ধান ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে আছে। রোপনকৃত ধানের চারাও অনেক অংশে হলদুবর্ন হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। জমিতে আগাছা জন্ম নিয়ে ধান গাছ ঝাপটে রেখেছে।  কোথাও আবার অপ্রাপ্তবয়স্ক চারায় ধানের শীষ বেরিয়েছে। ক্ষেতে পানি সরবরাহ না থাকায় এই সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে বলে কৃষক ধারণা করেছেন কৃষকরা। সরকারী খালে বাঁধা অপসারন করে পানির প্রবাহ সচল রাখান জন্য ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করেও ২০ দিনে কোন সুফল পায়নি পূর্ব মহিষার, চামটা, দিনারা এলাকার প্রায় ২৫টি ইরি ব্লকের কৃষক ও ব্লক ম্যানেজার খাল বাধ দিয়ে ভেদরগঞ্জ পৌরসভায় সড়কের কাজ করছে এব্যাপারে লিখিত অফিযোগের পর সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে। আশা করি বাধ কের্টে দেয়া হবে আমি খবর নিয়ে দেখেছে বাধের কারণে অনেক ধান বেরহতে সমস্যা হচ্ছে।
এব্যাপারে ভেদরগঞ্জ পৌরসভায় কথা বলার জন্য কাউকেই পাওয়া যায়নি।
জযন্তী নদী থেকে ভেদরগঞ্জ এমএ রেজা ডিগ্রী কলেজের পাশ দিয়ে খালটি মহিষার, দিনারা, চামটা, বিঝারীর দিকে পানি প্রবাহিত হয়। সেই খাল থেকে পানি সেচ দিয়ে এইসকল এলাকার প্রায় ২৫টি বোরো ব্লকে চাষাবাদ হয়। চলতি মৌসুমে খাল থেকে পানি সেচ দিয়ে কৃষক বোরো চাষ শুরু করেলেও সেই খালে ভেদরগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজ করার কথা বলে কয়েটি বাঁধ দেয়। বাধের কারণে খালে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। পানি প্রবাহ সচল না হলে প্রায় ২৫টি বোরো বøক ধান নষ্ট হয়ে যাবে বলে দাবি ভেদরগঞ্জ,নড়িয়ার কৃষকদের।