এর আগে তিনি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ইউএনও হিসেবে দায়িত্বপালনরত অবস্থায় নানা অনিয়ম ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লে তাকে তাহিরপুরে বদলি করা হয়
জানা গেছে, উপজেলার খনিজ বালু-পাথরসমৃদ্ধ সীমান্ত নদী জাদুকাঁটা-১, জাদুকাঁটা-২ বালু মহাল ইজারা প্রদান করা হলে ইজারাদার সিন্ডিকেট চক্রের সঙ্গে গোপন সমঝোতায় পরিবেশ-বিধ্বংসী শতাধিক ড্রেজার মেশিনে নদীর দুই তীরজুড়ে এমনকি মহাল ইজারাবহির্ভূত সীমানা থেকে দিন-রাত বালু পাথর উত্তোলন করা হয়। অবৈধ ড্রেজার মেশিনে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে ভুক্তভোগীরা সরাসরি কিংবা মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি ড্রেজার বন্ধে উদাসীনতা এমনকি বিরক্তবোধ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ নিয়ে গেল ১৯ জুন  নির্মাণাধীন জাদুকাঁটা সেতুতে এক ড্রেজারেই ক্ষতি ৬ কোটি টাকা, পরদিন ২০ জুন 
পরবর্তীতে ২৫ জুন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে মুঠোফোনে জাদুকাঁটা নদীতে ড্রেজার মেশিন জব্দ ও ড্রেজার মালিকদের গ্রেফতারের নির্দেশনা প্রদান করেন।
এরপর তৎকালীন পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এহসান শাহ থানা পুলিশকে ড্রেজার মেশিন জব্দ ও ড্রেজার মালিকদের গ্রেফতারের নির্দেশনা প্রদান করেন। ২৬ জুন পুলিশ অভিযানে নেমে ৪টি ড্রেজার, ৪টি স্টিল বডি ট্রলারসহ এক ড্রেজার মালিককে গ্রেফতার করে।
এরপর বালু মহাল ইজারাদার সিন্ডিক্যাট চক্রের সাথে গোপন সমঝোতায় ড্রেজার তান্ডব ধামাচাঁপা দিতে রাতে ভ্রাম্যমান আদালতের নামে ফের জজ মিয়া নাঠক সাজাতে ইউএনও তৎপর হয়ে উঠে। বিষয়টি পুলিশের উধ্বর্তন কতৃপক্ষ গোটা বিষয়টি জেনে ফেলায় ইউএনও ও ইজারাদার সিন্ডিক্যাট চক্রের জজ মিয়া নাঠক পন্ড হয়। ড্রেজার জব্দ ও নিয়মিত মামলায় গড়ালে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে নদী থেকে ড্রেজার জব্দ ও ড্রেজার মালিকদের বিরুদ্ধে  থামিয়ে দেয়া হয় অভিযান। 
নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা, জাদুকাটা নদীতে শতাধিক ড্রেজার বন্ধে ও ড্রেজার মালিকদের গ্রেফতারে ভুমিমন্ত্রীর নির্দেশনা পালনে উদাসীনতা এমনকি তাহিরপুরে যোগদানের পর থেকে সদরের বাসিন্দা (পূর্বের বীরনগর গ্রামের) প্রয়াত আরব আলী মাষ্টারের ছেলে এনায়েত পাটোয়ারি নামে এক যুবকের ইউএনও’র চারপাশে ঘিরে সরব পদচারণা ও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নৌকাঘাট, হাটবাজার খাঁস আদায়ে সিন্ডিক্যাট চক্রের হয়ে তদবীর, আগ বাড়িয়ে ইউএনও’র সকল দাপ্তরিক কর্মকান্ডে অবাঞ্চিত হস্তক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এনায়েত ইউডিসির উদ্যোক্তা সে , ইউএনও অফিসের কোন সরকারি বেতন ভুক্ত স্টাফ নন, মূলত সোর্স হিসাবে বিভিন্নভাবে আমাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে। সোর্স মাণি’ দেয়া হত কি না? দিয়ে থাকলে তার উৎস কি জানতে চাইলে তিনি কোন রকম সদুক্তর দিতে পারেননি।
ইউএনও সালমা পারভীন গোপালগঞ্জে বদলির আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে ওখানে আমাকে বদলি করা হয়েছে।