আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ঢাকা নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার মিসেস সারাহ কুক সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপার্সন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য  আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি ও চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটি সদস্য তাবিথ আউয়াল।
ঐকমত্য কমিশন জাতীয় নির্বাচনের দিন অথবা আগে গণভোট করার বিষয়ে সুপারিশ করেছে। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, এটা ওনাদের (কমিশনের) হতে পারে, এটার সাথে বিএনপি একমত নয়, আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি। পুরো আলোচনায় বিএনপির অবস্থান ছিল যে গণভোট আর নির্বাচন একই দিনে হবে, দুটো ব্যালটের মাধ্যমে। এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। নতুন করে এই বিষয়কে সামনে আনার কোনো সুযোগ নাই। সেটা যে যাই বলুক। যারাই প্রতিবেদন দিক সেটা তাদের সমস্যা। এটা বিএনপির সমস্যা না। এই ব্যাপারে আলোচনার কোনো সুযোগ নাই। নির্বাচনের দিন দুইটা ব্যালটের মাধ্যমে ভোট হবে। একটি প্রার্থীর পক্ষে, আরেকটি গণভোটের জন্য। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। এটা বিএনপির প্রথম দিন থেকে অবস্থান। এখনও সেই অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগামী দিনও সেটার কোনো পরিবর্তন হবে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান একেবারেই পরিষ্কার। কারা কি রিকমেন্ড করেছে এটা তাদের সমস্যা। তারা তো বাংলাদেশে ভোট করবে না, ভোট করবে রাজনৈতিক দলগুলো। রিকমেন্ড অনেকে অনেক কিছু করতে পারে। আমাদের অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন ছিল, যেগুলো ঐকমত্যে আসে নাই। তার মানে এটা নয় যে ঐকমত্য সনদে সই করতে পারব না। সই করেছি। একটা জিনিস বুঝতে হবে, ঐক্যমতের বাইরে গিয়ে কে কি বলছে, কে কি রিকমেন্ড করছে, এটা তাদের ব্যাপার। আমাদের সেখানে কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু ঐক্যমতের বাইরে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। যেহেতু বিএনপি এখানে (সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট) ঐকমত্য পোষণ করে না, সেদিকে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নাই।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে আসবেন, এ বিষয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার জানতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, এই ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে উনি দেশে আসার বিষয়টা তো সবসময় আলোচনার মধ্যে আছে। তবে এ বিষয়ে আলোচনার খুব বেশি কিছু নাই। কারণ বাংলাদেশে উনি কবে আসবেন, এটা উনার সিদ্ধান্ত। উনি সঠিক সময়ে, খুব কম সময়ের মধ্যে দেশে ফিরবেন, এটা পরিষ্কার। দিন-ক্ষণ উনার পক্ষ থেকে বলা হবে। কিন্তু সময়টা খুব বেশি দূরে নয়, এতটুকু বলা যাবে। আর উনারও তো প্রস্তুতি আছে। দেশে আসার জন্য উনার সময়মতো যেটা সঠিক সিদ্ধান্ত, উনি সেটা নিবেন।
আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের ভোটিং ও নির্বাচন ব্যবস্থা সুষ্ঠভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য সরকারের একটা সাপোর্ট আছে। এছাড়া বাংলাদেশ-ইউকের যে সম্পর্ক, সেটা অনেক গভীর এবং দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। এটাকে আমরা আগামী দিনে কিভাবে দেখতে চাই, আরও কার্যকর করা, দু-দেশের সম্পর্ক আরও উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ থেকে শুরু করে সংস্কৃতি, আমাদের দেশের লোকজন যারা ওখানে গিয়ে কাজ করছে— এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।