এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে হয়রানির শিকার আফসানা রহমান গত ৯ নভেম্বর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স আইজিপি কমপ্লেন মনিটরিং সেল ও পিবিআই প্রধানের বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। যাহার তদন্ত বর্তমানে চলমান।
তার বক্তব্য ও লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সিআর মামলা ২৩৯/২২ এর তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খানা পুলিশ পরিদর্শক পিবিআই, ঢাকা মেট্রো (উত্তর) বাদী কর্তৃক অসৎ উপায়ে লাভবান হয়ে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোস্তফা কামাল খান।
আফসানা রহমান অভিযোগ করেছেন যে, আমি ও আমার ভাই মাহমুদুর রহমান (রলিভ) ও বোনেরা পৈত্রিক সূত্রে ঢাকার বিভিন্ন জায়গার মালিক। আমাদের মাতা বিগত ০৫/০৪/২০১৯ ইং তারিখে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ...)। মায়ের মৃত্যু পর বন্টনকৃত ২টি ফ্ল্যাট ব্যাতীত সকল সম্পত্তি আমাদের ভাই মাহমুদুর রহমান (রলিভ) ভোগ দখল করিতেছেন। আমি ভাই-বোনদের মধ্যে বড়। আমি ভাই কর্তৃক বার বার শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে নিজেদের মালিকানাধীন ফ্ল্যাট ছেড়ে অন্যত্রে ভাড়া বাসায় বসাবাস করিয়া আসিতেছি।খরচ চালাতে হিমশিম খেয়ে আমার পিতা মাতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি (বাড়ি, ফ্ল্যাট) নিজেদের মধ্যে আপোষ বন্টন করার জন্য বার বার বলি। কিন্তু আমার ভাই ও বোন আপোষ বন্টন করতে সম্মত না থাকায় আমি বিগত ২৬/১১/২০২০ ইং তারিখে বিজ্ঞ আইনজীবির মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে উক্ত সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে আপোষ বন্টনের জন্য অনুরোধ করি। পরবর্তীতে আমার ভাই বোন নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আমার ই-মেইল এ একটি আপোষ বন্টননামা প্রেরণ করেন। যা প্রাপ্ত হইয়া আমার ভাই-বোনদের সম্মতিক্রমে আমি ২০১ নং ফ্ল্যাট (৪২ কাটাশুর, ঢাকা রিয়েল এস্টেট, মোহাম্মদপুরস্থিত) আমার নিজ নামে সিটিকর্পোরেশনে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করে এবং ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র পরিবর্তন করে নিয়মিত ভাড়া আদায় করে আসিতেছে। পরবর্তীতে আমি জানতে পারি যে, আমার মা এনসিসি ব্যাংক লিঃ মগবাজার শাখা, ঢাকা-এ একটি হিসাব পরিচালনা করিতেন। আমি আমার মায়ের হিসাবের কথা জানিতে চাইলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমার মায়ের হিসাবের বিবরন আমাকে দেয়। তাহাতে দেখা যায় যে, আমার মাতা ICU-তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ভাই ও মামা আমার মায়ের ব্যাংক হিসাব হতে নগদ ও মামা মোবাশ্বের আলী আহম্মেদ এর বানিজ্যিক হিসাবে অনলাইন ট্রান্সফার এর মাধ্যমে একই দিনে অনৈতিকভাবে ২৮,৯৩,০০০/- (আটাশ লক্ষ তিরানব্বই হাজার) টাকা উত্তোলন করেন। এ বিষয়ে মামা ও ভাইকে জিজ্ঞাস করিলে তারা অস্বীকার করেন এবং আমাকে হুমকি প্রদান করেন। তাহাদের নির্যাতন সইতে না পেরে আমি বিজ্ঞ সিএমএম আদালতে সিআর মামলা নং-৫৫৪/২১ দায়ের করি। আমার ভাই উক্ত মামলা দায়েরের পর থেকেই আমাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে আমাকে হয়রানি ও বিভিন্ন প্রকার হুমদি-ধামকি প্রদান করে আসছে এবং মামলা তুলে না নিলে আমার ফ্ল্যাট সহ আমার কোন সম্পত্যিই আমাকে ভোগ করতে দিবে না বলে এমনকি আমার ভাড়াটিয়াকেও নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে আমি কোন উপায় না পেয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করি যাহার নং- ৭৮৩, তারিখ: ১০/০১/২০২২ ইং। যে জিডির সুত্রে থানা এবং উক্ত বাড়ীতে পুলিশ,মামলায় উল্লেখিত সহকর্মী ও আত্লীয় সজনসহ একাধিক বৈঠক করি। অতঃপর আমার ভাড়াটিয়া ভয়ে বাসা ছাড়িয়া দেয়। বিগত ০১ মার্চ ২০২২ ইং তারিখে ভাড়াটিয় চলে যাওয়ায় এবং নতুন ভাড়াটিয়াকে ফ্ল্যাট ও চাবি বুঝাইয়া দিয়া বাসায় ফেরার সময় আমার ভাই মাহমুদুর রহমান (রলিভ)এর (০১৭১১-৫০৬৫১৮) নম্বর থেকে আমাদের বাড়ীর কেয়ার টেকারের মোবাইল (০১৭১৭-০৮১২১১, ০১৩০৮-৬৩০৮৫২) নম্বরে ফোন করে আমাকে ও আমার সাথে থাকা সহকর্মীদেরকে মেরে ফেলা ও আমাকে শ্লীলতাহানির হুমকি দেয়, যাহার ভয়েস রেকর্ড কেয়ারটেকার এর মোবাইল থেকে আমি সংগ্রহ করি। এছাড়াও আমাকে বিভিন্ন সময়ে ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদান করায় বিগত ০৭/০৭/২০২২ ইং সাধারন ডায়েরী নং-৪১৩/২২ এবং ১০১৭ তাং ০৭/০৯/২০২২ যাহা ডিএমপি, ডিবি’র সাইবার ক্রাইমে তদন্তনাধীন । আমি অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিজ্ঞ জজ আদালত ঢাকা’য় দেওয়ানী মোকঃ নং ৬৩৮/২২ (চলমান) থাকাঅবস্হায় ফ্ল্যাটের তালা ভেঙ্গে ফেলে। উক্ত ফ্ল্যাটের তালা ভাঙ্গার কারনে আমি বিগত ২১/১০/২০২২ ইং তারিখ জিডি নং-১৭৬৮, মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করি। আমার সহকর্মীদেরকে মেরে ফেলা ও আমাকে শ্লীলতাহানির হুমকির ভয়েস রেকর্ড কেয়ারটেকার এর মোবাইল থেকে আমি সংগ্রহ করায় আরো ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকৃত ঘটনাটিকে আড়াল করে আমার ভাই আমার ও আমার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিএমএম. আদালতে সি.আর মামলা নং-২৩৯/২২ দায়ের করিলে বিজ্ঞ আদালত পিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই উক্ত মামলার আদেশ ও নথি প্রাপ্ত হইয়া তদন্তের জন্য মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান, পুলিশ পরিদর্শককে তদন্তের ভার ন্যাস্ত করেন। তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে আমাকে নোটিশ না দিয়ে ফোনে তাহার সাথে দেখা করতে বললে আমি সংস্লিষ্ট সকল কাগজপত্র নিয়ে পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) অফিসে গিয়ে তাহার সাথে দেখা করি এবং সকল কাগজপত্রের ফটোকপি দাখিল করি এবং আমদের উল্লেখিত বাড়ীর সিসি ফুটেজ যাচাই করার জন্য বলি। তিনি দাখিলীয় সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তারপর আমার কাছে ১,০০,০০০/- (একলক্ষ) টাকা দাবী করেন এবং বলেন উক্ত টাকা না দিলে আমার ও আমার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করিবেন। এমতাবস্থায় বিগত ১৪/০৯/২০২২ ইং তারিখে স্ট্রোক করিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার সহকর্মী বেলায়েত হোসেন তার সাথে দেখা করিলে তিনি আমার সাথে আমার অন্য সহকর্মীকে জড়িয়ে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করেন। যা একজন দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ অফিসার বলতে পারেন না।
আমি চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় তিনি আমার নিকট দাবীকৃত উক্ত টাকা না পেয়ে আমার ভাইয়ের নিকট হইতে অবৈধভাবে লাভবান হয়ে আমার ও আমার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা,মনগড়া কাল্পনিক অভিযোগে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পিবিআই প্রধানের নিকট ০৯ নভেম্বর ২০২২ তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খানের এহেন অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন। আফসানা দাবি করেন মামলার ঘটনার দিনের বাড়ীতে থাকা সিসি ফুটেজ যাচাই করলেই প্রকৃত রহস্য বের হয়ে আসবে।
এখানে উল্লেখ থাকে যে, তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনে কেয়ারটেকার রফিকের স্বাক্ষী জবান বন্দিতে উল্লেখ করেছেন বর্তমানে ও (তদন্তকালীন সময়েও) আমি উক্ত ফ্ল্যাটের ফ্ল্যাট ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি এবং ভাড়া আদায় করিতেছি।
উল্লেখ থাকে যে,পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খানের নিকট সিসি ফুটেজের কপি থাকা শর্তেও তিনি প্রতিবেদনে কোন আলামত জব্ধ ও বাদী তার অভিযোগের কোন প্রমান উপস্হাপন করতে পারেনানি মর্মে উল্লেখ করেন। কিন্তু কেন তিনি সিসি ফুটেজটা অস্বীকার করে অভিযোগপত্র দিয়েছেন? কোন আলামত জব্ধ ও বাদী কতৃক অভিযোগের কোন প্রমান উপস্হাপন করতে না পারাশর্তেও অভিযোগপত্র দিয়েছেন? পকৃত অর্থে সেদিন আফসানা রহমানের উল্লেখিত ২০১ নং ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া ওয়াদুদ বিদায় নিয়েছে এবং নতুন ভাড়াটিয়া পলিনকে উক্ত ২০১ নং ফ্ল্যাটের ছাবি ও ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র বুঝিয়ে দিয়ে চলে আশার সময় মাহমুদুর রহমান রলিভ তার মোবাইল থেকে দারোয়ানের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আফসানা রহমানকে ধর্ষন ও তার সহকর্মীদের মেরেপেলার হুমকি দেন। সিসি ফুটেজে দেখাযাচ্ছে ভাড়াটিয়া মালাামাল উঠাচ্ছে এবং কথা হওয়া মোবাইলটা দারোয়ার টেনেনিয়ে যাচ্ছে। সে হুমকির ভয়েজ রেকর্ড দারোয়ান রুফিক ডিলেট করে দিতে চাইলে তাকে আটকিয়ে সেই ধর্ষন ও হুমকির ভয়েজ রেকর্ডটি উদ্ধার করেন আফসানা রহমানের সহকর্মীরা। সিসি ফুটেজ যাচাই করলেই বুঝাজায় দাবীকৃত উক্ত টাকা না পেয়ে আফসানার ভাইয়ের নিকট হইতে অবৈধভাবে লাভবান হয়ে মিথ্যা,মনগড়া কাল্পনিক অভিযোগ বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খানে। চলবে...