রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
আহমেদ আনছারি, নিজস্ব প্রতিনিধি: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও সরকারি চাকরিতে কোটা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো হলো—
১. উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
২. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়ে মতামত বা সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করবে।
৩. মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ বিষয়ে মতামত বা সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করবে।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। তখন এ নিয়ে উচ্চ আদালত রায় দেন। উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী, বর্তমানে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির সব গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয় ৯৩ শতাংশ। বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হয় কোটার ভিত্তিতে।
এই ৭ শতাংশের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়।
অন্যদিকে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটগুলোতে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রয়েছে।
সম্প্রতি মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এই কোটার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।