স্পোর্টস ডেস্ক, সিএনএন বিডি ২৪.কম: দেশের ফুটবলে গত কয়েক বছরে সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছে বাংলাদেশ নারী দলের হাত ধরে। অথচ, সেই নারীরা বরাবরই থেকেছেন অবহেলিত।
বেতন কাঠামো অসামঞ্জস্যপূর্ণ, নেই সংস্কার ও সুযোগ-সুবিধা। পাশাপাশি বর্তমান কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তো আছেই।
বাটলারের অধীনে গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে বাংলাদেশ। তখনই প্রকাশ্যে আসে, তার সঙ্গে ফুটবলারদের ঝামেলার বিষয়টি। সিনিয়র ফুটবলারদের প্রতি বাটলারের ক্ষোভ সে সময় আলোচনায় এলেও সাফ জয়ে তা আড়ালে পড়ে যায়। সম্প্রতি বাটলারের সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ সিনিয়র ফুটবলাররা। বাফুফেতে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) অনুশীলনও করেননি তারা। পরবর্তীতে বাফুফে ভবনে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন ডাকেন নারী দলের ফুটবলাররা। অধিনায়ক সাবিনা জানান, বাটলার দায়িত্বে থাকলে তারা সসম্মানে অবসর নেবেন।
নারী ফুটবল দলের হেড কোচ পিটার বাটলার ইস্যুতে আমাদের অবস্থান, প্রশ্ন ও যত অভিযোগ—শিরোনামের লিখিত বক্তব্যে একযোগে অবসরের ঘোষণা দেন সাবিনা-ঋতুপর্ণারা। এতে সই করেন সাবিনা, মনিকা, শামসুন্নাহার, সানজিদা, ঋতুপর্ণা, মাসুরাসহ ১৭ সিনিয়র ফুটবলার।
লিখিত বক্তব্যের শেষে অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা আশা করছি বাফুফের সভাপতি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে সমাধানের ব্যবস্থা নেবেন। এর আগ পর্যন্ত আমরা পিটারের অধীনে কোনো ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশ নেব না। যেহেতু গত অক্টোবরের পর কোন ফুটবলারের সঙ্গে বাফুফে কোনো চুক্তি নবায়ন করেনি, তাই আইনত বাফুফে আমাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রাখে না। যদি তেমন কিছু করার সিদ্ধান্ত হয় এবং পিটার বাটলারকেই রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তে তারা অনড় থাকে, তবে আমরা পদত্যাগ (অবসর নিতে) করতে বাধ্য হব। দেশের নারী ফুটবলে আমাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে বলে ভেবে নেব।