লিটন মোল্লা, নিজস্ব প্রতিনিধি : জাতীয় নির্বাচন আগে হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। তবে ছোট পরিসরে স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগেও হতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এ কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, জন্ম নিবন্ধনের মতো সেবা মানুষ পাচ্ছে না। একজন আমলা আর কতটুকুই করতে পারে। অন্তত সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলাগুলোর নির্বাচন আগে হতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য একটা দক্ষ প্রশাসন দরকার। গত ১৬ বছরের যে প্রশাসন কারচুপির নির্বাচন করেছে, তাদের দ্বারা কী করে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। আগে বলতো আওয়ামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ। এখন কেউ বলছে গণ অধিকার পরিষদের লোক, কেউ বলে বিএনপির লোক, কেউ বলে জামায়াতের লোক। আবার কেউ বলে আমরা ছাত্রদের প্রতিনিধি। কাজেই এখনকার প্রশাসনের মধ্যেও যদি এই রাজনৈতিক মনোভাব থাকে, তাহলে তো নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে।
গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি যে, নির্বাচনে যে রিটানিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা দায়িত্ব পালন করবেন, তারা যদি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকেন; সেটা যেন কমিশন আগেভাগেই নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও বলেন, বিতর্কিত নির্বাচনে যারা জড়িত ছিল, তাদের অনেকে বহাল তবিয়তে আছে। অনেককে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে। কাউকে কাউকে তলে তলে সুযোগও দেওয়া হচ্ছে। আমরা বলেছি, তারা যেন নির্বাচনী দায়িত্বে না থাকে।
বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত করে দলটিকে ভোটের মাঠের বাইরে রাখারও দাবি জানান নুরুল হক নুর।
ডাকসুর এই সাবেক ভিপি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার জোটের কোনো দল যেনো নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সেই কথা কমিশনকে জানানো হয়েছে।