আরে ভাই যারা শহীদ হওয়ার জন্য উন্মুখ তাদের ফাঁসির ভয় দেখান। এই ভয় করলে আমাদের নেতাদের ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলতে হতো না। তারা হাসতে হাসতে জীবন দিয়েছেন। সমাজের উন্নয়নের মা-বোনদেরও অনেক ভূমিকা আছে। এতোদিন আপনারা যে সম্মান ও মর্যাদা নিরাপত্তা পাননি সেটিও এখন পাবেন।
আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে জেলা জামায়াতের জনসভায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এদেশে মেজরিটি-মাইনোরিটি মানি না। যারাই বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছে তারাই দেশের গর্বিত নাগরিক। বিশেষ করে মুসলমান ভাইদের বলবো—অন্য ধর্মের মানুষদের কষ্ট দিবেন না। যারা এ দেশকে মেজরিটি আর মাইনোরিটি করে রেখেছিলেন তারাই মাইনোরিটিদের জীবনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। ৭২ পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত এমন যেসব ঘটনা ঘটেছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক।
জামায়াত আমির বলেন, আমরা বাংলাদেশকে আর গডফাদার, গডমাদারদের বাংলাদেশ দেখতে চাই না। মাফিয়াতন্ত্র, ফ্যাসিবাদের বাংলাদেশ দেখতে চাই না। আমরা বাংলাদেশকে একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।
জামায়াত আমির আরও বলেন, আমরা দেশের মানুষের সমর্থন পেলে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবো যেখানে পাশ করার পর তাকে চাকরির অফার দেওয়া হবে। কেউ বেকার থাকবে না।
পঞ্চগড় জেলাবাসীর উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কৃষিভিত্তিক এলাকা হিসেবে পঞ্চগড়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বেকারের মালা গলায় নিয়ে ঘোরার চেয়ে কৃষিবিদ হওয়া অনেক ভালো। একজন কৃষক এক সেকেন্ডের জন্য বেকার থাকে না। যেসব এলাকা এর আগে বঞ্চিত হয়েছে সরকারে গেলে তারা তাদের পাওনা আগে পাবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাগপার চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধানসহ জামায়াতের নেতারা।