শাহিনুর আক্তার, স্টাফ রিপোর্টার: এক মাস সিয়াম সাধনার পর এলো খুশির ঈদ। সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
এ আনন্দ কিছুটা ভাগাভাগি করা হয় কারাবন্দিদের সঙ্গেও। ঈদ জামাতের আয়োজনের পাশাপাশি আয়োজন করা হয় বিশেষ খাবারের।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে এবারের ঈদে দেশের বিভিন্ন কারাগারে আছেন। এবার তাঁদের ঈদুল ফিতরের দিন কাটবে কারাগারের চার দেওয়ালের মধ্যে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন কারাগারে থাকা ভিআইপিসহ ডিভিশন পাওয়া বন্দীসহ সাধারণ বন্দীদের একই ধরনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদের দিনে তিন বেলার খাবারের মেন্যুতে যেসব খাবার রাখা হয়েছে তা হলো- সকালের খাবারে পায়েস, সেমাই ও মুড়ি। দুপুরে থাকছে পোলাও বা খিচুড়ি, মুরগির রোস্ট, ডিম, গরু ও খাসির মাংস, সালাদ, মিষ্টি ও পান। আর রাতে দেওয়া হবে ভাত, আলুর দম, রুই মাছ ও ডিম।
সারা বছর সাধারণ বন্দীদের সকালে দেওয়া হয় হালুয়া, রুটি ও ডিম। দুপুরের খাবারের তালিকায় থাকে ভাত, ডাল, সবজি। রাতে খাবার দেওয়া হয় ভাত, ডাল, মাছ বা গরুর মাংস। আর ডিভিশন পাওয়া বন্দীদের খাবার তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী আলাদা রান্নার ব্যবস্থা করা হয়।
ঈদের দিনে উন্নত মানের খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি বন্দীদের জন্য তাঁদের স্বজনদের আনা খাবারও তাঁদের খেতে দেওয়া হচ্ছে। ঈদের পরদিন যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে কারাগারের ভেতরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবে কারাগারগুলো।
ঈদের দিন বেলা ১১টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক সুরাইয়া আক্তার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ঈদের সময় অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুয়ায়ী বন্দীদের জন্য বিশেষ খাবার ও নানা আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া ঈদের পরদিন থেকে তিন দিন বন্দীদের সঙ্গে তাঁদের স্বজনদের মুঠোফোনে কথা বলা, বাসা থেকে আনা খাবার এবং স্বজনদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হবে। ঈদের পরদিন কারাগারের ভেতরে বন্দীদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে কারা কর্তৃপক্ষ।