আন্তর্জাতিক ডেস্ক, সিএনএন বিডি ২৪.কম:টানা ১২ দিনের তীব্র সংঘাত শেষে এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি চলছে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে। সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম ভয়াবহ এক সংঘাত ছিল এটি।
সংক্ষিপ্ত এ যুদ্ধে ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় ৯ শতাধিক মানুষ মারা গেছে ইরানের। সেইসঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানসহ অন্তত ২৪ জন শীর্ষ কমান্ডার ও ১৪ জন পরমাণু বিজ্ঞানীও হারিয়েছে দেশটি।
শুধু তাই নয়, ইরানের কোমর একেবারে ভেঙে দিতে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকেও রাখা হয়েছিল টার্গেটে। সংঘাতকালে পেজেশকিয়ানকে হত্যা করতে অন্তত ৬টি বোমা ছুড়েছিল ইসরায়েল।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সংশ্লিষ্ট এক আউটলেটের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের।
ফার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গত ১৬ জুন, সোমবার সকালে পশ্চিম তেহরানে একটি ভবনের নিচতলায় অধিবেশন চলছিল ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের। তখন সেখানে আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে মাসুদ পেজেশকিয়ান ছাড়াও পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, বিচার বিভাগীয় প্রধান মোহসেনি এজেই এবং ইরানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফার্স নিউজ বলেছে, পালানোর রাস্তা বন্ধ এবং বায়ুপ্রবাহ ব্যাহত করতে ভবনের প্রবেশ ও প্রস্থান পথ লক্ষ্য করে ছয়টি বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। বৈরুতে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার জন্য পরিকল্পিত একটি অভিযানের আদলে এই আক্রমণটি তৈরি করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিস্ফোরণের পর ফ্লোরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, কিন্তু কর্মকর্তারা আগে থেকে প্রস্তুত করা একটি জরুরি হ্যাচ দিয়ে পালাতে সক্ষম হন। তবে, এই পথ দিয়ে বের হওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান এবং আরও কিছু কর্মকর্তা পায়ে সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফার্সের প্রতিবেদনে ইরানি প্রেসিডেন্টসহ কর্মকর্তারা তেহরানের ঠিক কোথায় এই বৈঠক করছিলেন তার তথ্য দেওয়া হয়নি।
তবে ইরান ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, গত ১৬ জুন পশ্চিম তেহরানে শাহরাক-ই-গারবের কাছে একটি এলাকায় হামলায় চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে সম্প্রতি মার্কিন রক্ষণশীল উপস্থাপক টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাসুদ পেজেশকিয়ানও বলেছেন, সংঘাতের সময় তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল ইসরায়েল।