আন্তর্জাতিক ডেস্ক, সিএনএন বিডি ২৪.কম: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের তথ্যে, পাঁচ লাখ মানুষ অনাহারের মুখে এবং জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।
গত বৃহস্পতিবার উয়েফা সাবেক ফিলিস্তিনি ফুটবলার সুলেইমান আল-ওবাইদের মৃত্যু নিয়ে এক বিবৃতি দেয়। তবে তারা মৃত্যুর কোনো নির্দিষ্ট কারণ বা প্রেক্ষাপট উল্লেখ করেনি। লিভারপুল ও মিশরের তারকা মোহাম্মদ সালাহ উয়েফার পোস্ট উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ‘আপনারা কি বলতে পারেন, তিনি কীভাবে, কোথায় এবং কেন মারা গেলেন?’ ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ওবাইদ দক্ষিণ গাজায় মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষা করার সময় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন।
শনিবার লিভারপুল-ক্রিস্টাল প্যালেস কমিউনিটি শিল্ড ম্যাচের সম্প্রচারে সাবেক মিশরীয় ফুটবলার মোহাম্মদ আবুত্রিকা ইসরায়েলকে নিন্দা জানান এবং ফিফা ও উয়েফাকে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘ইসরাইল ৭৬০ জন ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে, এর মধ্যে ৪২০ জন ফুটবলার। ১৪০টি ক্রীড়া অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফিফা ও উয়েফা পদক্ষেপ নিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব কখন থামানো হবে? আমরা শুধু কথা চাই না, আমরা বাস্তব পদক্ষেপ চাই।’
উয়েফা সাধারণত ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক ফুটবলে অবস্থান নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করে না। তবে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ সম্পাদক থিওডর থিওডোরিডিস বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। যুদ্ধ শুরুর প্রেক্ষাপটও আলাদা।’
পিএসজি-টটেনহ্যাম সুপার কাপ ম্যাচের আগে উয়েফা মাঠে একটি ব্যানার তোলে, যাতে লেখা ছিল ‘শিশু হত্যা বন্ধ করুন, বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধ করুন’। তবে গাজা বা ফিলিস্তিনের নাম উল্লেখ করা হয়নি। উয়েফার এক কর্মকর্তা বলেন, এটি রাজনৈতিক নয়, মানবতার বার্তা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার শিশু নিহত হয়েছে।
উয়েফা দুই ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিশুকে ম্যাচ-পরবর্তী মেডেল প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্ত করে। তাদের শিশু ফাউন্ডেশন গাজার শিশুদের জন্য মানবিক সহায়তা, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেছে। উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্ডার সেফেরিন বলেন, ‘যুদ্ধ চালানো প্রাপ্তবয়স্করা যা-ই ভাবুক, শিশুদের কোনো দোষ নেই। তারা প্রতিদিন মারা যাচ্ছে। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই, যাতে তারা অন্তত কিছুটা শান্তি ও আশার মুহূর্ত পায়।’