আন্তর্জাতিক ডেস্ক, সিএনএন বিডি ২৪.কম: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তীব্র অস্থিরতার ইঙ্গিত মিলছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করে প্রায় অবারিত ক্ষমতা প্রয়োগ করছেন।
অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা ভোটারদের চাপের মুখে প্রতিরোধ গড়ার পথ খুঁজছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্রুতগতিতে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত আরও শহরে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের হুমকি, গণ-নির্বাসন ত্বরান্বিত করা, এমনকি সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর শীর্ষ বিজ্ঞানীদের সরিয়ে দেওয়ার মতো বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়েছেন।
বিদেশনীতি ক্ষেত্রেও তিনি নিজেকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার হিসেবে তুলে ধরছেন, যদিও ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধ সমাধানে ব্যর্থ হয়েছেন। তার বাণিজ্যযুদ্ধ আমেরিকার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে এবং ভারতকে চীনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আদালতের এক রায়ে তার শুল্কনীতি বেআইনি ঘোষিত হওয়ায় আরও চাপে পড়েছেন।
হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেন পুনর্নির্মাণ, নতুন বলরুম নির্মাণ পরিকল্পনা থেকে শুরু করে রাতভর ক্ষুব্ধ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্ট—সব ক্ষেত্রেই ট্রাম্প সরাসরি নিজেকে জড়াচ্ছেন। তিনি প্রতিপক্ষকে তদন্তে হয়রান করতেও দ্বিধা করছেন না।
তবে দীর্ঘ আট মাসের চাপে থাকার পর ডেমোক্র্যাটরা আবার প্রাণবন্ত হতে শুরু করেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম ট্রাম্পকে ব্যঙ্গবিদ্রূপে আক্রমণ করছেন। ইলিনয় গভর্নর জেবি প্রিৎজকারও ট্রাম্পকে সতর্ক করেছেন শিকাগোতে সেনা মোতায়েন না করার জন্য।
এদিকে, মাসের শেষে বাজেট পাস না হলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ডেমোক্র্যাট নেতারা প্রেসিডেন্টের বিশাল ব্যয় বিলকে দোষারোপ করে স্বাস্থ্যসেবা সংকট সমাধানের দাবি তুলেছেন। কিন্তু হোয়াইট হাউস ইঙ্গিত দিয়েছে ট্রাম্প আপস করতে রাজি নন।
অপরদিকে, অভিযুক্ত যৌন পাচারকারী জেফরি এপস্টিনের নথি প্রকাশে প্রশাসনের অনীহা নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে। বিচার বিভাগ ট্রাম্পের রাজনৈতিক স্বার্থে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে। কংগ্রেসের তলবের পর এই ইস্যু ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসবে।
এ ছাড়া, ট্রাম্প রিপাবলিকানদের জন্য নতুন আসন তৈরি করতে টেক্সাসে মধ্যমেয়াদি পুনর্বিন্যাসের ডাক দিয়েছেন। একইসঙ্গে ডাক ভোট নিষিদ্ধ ও ভোটার আইডি বাধ্যতামূলক করার নির্বাহী আদেশ দেওয়ার পরিকল্পনাও করছেন। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা ভার্জিনিয়া ও নিউ জার্সির গভর্নর নির্বাচনে জয়ের আশা দেখছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠকেও ইউক্রেন যুদ্ধের অচলাবস্থা কাটেনি। অন্যদিকে চীন ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ উপেক্ষা করে বৈশ্বিক নেতৃত্বে শূন্যতা পূরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। শিগগিরই ট্রাম্প বেইজিং সফরে যেতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।