সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১
মো: ওবায়েদ উল্যাহ ভূলন: বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। তাঁর জীবন বাঁচাতে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দরকার।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ব্যর্থতা, ভুল অবশ্যই আছে। পৃথিবীর অসংখ্য রাজনীতিবিদের ব্যর্থতার সঙ্গে ক্ষমতায় থাকাকালে নিষ্ঠুরতাও সমালোচনার নাগালের বাইরে নয়।
তিনি এখন মৃত্যুর কাছাকাছি। তাঁর বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারপ্রধান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ মেয়ে শেখ হাসিনার মানবিক বিবেচনা ছাড়া আর কোনো পথ সম্ভবত খোলা নেই। কারণ খালেদার বিরুদ্ধে থাকা মামলা, আদালতের রায়ের গতিপ্রকৃতি সাধারণত নির্ভর করে রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের ওপর। দলগুলো এ ধরনের মামলাকে উপস্থাপন করে থাকে রাজনৈতিক মামলা হিসেবে। বিএনপি এ ক্ষেত্রে শুরু থেকেই ব্যর্থ। সাজাপ্রাপ্ত কাউকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে আইনে স্পষ্ট কিছু নেই। আইনি লড়াইয়ে বিএনপির জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই। দলটির শীর্ষ বেশ কয়েক নেতা খালেদার চিকিৎসার প্রশ্নে আন্তরিক নন, এটাও প্রমাণিত। খালেদা জিয়ার রোগ, প্রকৃত শারীরিক অবস্থা বিএনপি মোটেও তুলে ধরতে পারেনি মানুষের কাছে। রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া আর আস্থাযোগ্য তথ্য তুলে ধরা মোটেও এক বিষয় নয়। দলীয় কোনো ওয়েববসাইট থেকে বিএনপি সেগুলো তুলে ধরলে সরকারের বাধা দেওয়ার সুযোগ থাকতো না। দলটি তাঁর শারীরিক অগ্রগতি, অবনতির বিষয়ে নিয়মিত বুলেটিনের প্রয়োজনীয়তা বোধ করলো না, করছে না। কেন করেনি, বা করছে না? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিলে আওয়ামী লীগেরই লাভ হবে। রাজনৈতিক ইতিহাসের নিরপেক্ষ আলোচনায় একদিন দলটির, সরকারের ভূমিকার কথা উঠে আসবে। কোন দল ক্ষমতায় থাকাকালে কী করেছে, না করেছে- ইতিহাসের পর্যালোচনায় সেসব ঠাঁই পাবেই।