শনিবার, ১৪ মে, ২০২২
মো: ওবায়েদ উল্যাহ ভূলন: আমরা নিয়মিত মন্ত্রীদের ভাষণ শুনছি, দেশ এখন এতটাই উন্নত হয়েছে, মানুষের আয় এতটাই বেড়ে যে বিদেশিরা বাংলাদেশে আসতে চাইছে। এমনও শুনছি, বিদেশি মন্ত্রীরাও আমাদের মন্ত্রীদের কাছে পরামর্শের জন্য ছুঁটছে।
আমাদের বুঝতে হবে যে, নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করার জন্য চেষ্টা না করলে স্রষ্টাও সে ব্যক্তির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না। কাজেই আমাদের চাওয়া-পাওয়া, সুবিধা অসুবিধাকে যদি আমরা তুলে না ধরি, নিজেদের অধিকার আদায় করতে সত্যিকার অর্থে সচেষ্ট না হই তাহলে আমাদের স্বার্থ কেউ নিজে উদ্যোগী হয়ে যাচাই-বাছাই করবে না। তাই, আমাদেরকে আগে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়াতে হবে। পার্শবর্তী দেশ হিসেবে ভারতের সাথে সুসম্পর্ক ও সৌহাদ্র্যপূর্ণ আচরণ আমরা অবশ্যই করবো কিন্তু সে সম্পর্ক যাতে হয় সমমর্যাদা ও সমঅধিকার বাস্তবায়নের ভিত্তিতে- এ বিষয়টি আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে ভালোভাবে স্মরণ রাখতে হবে। আমাদের উচিত হবে সুসম্পর্ক নিশ্চিত করা, উভয় দেশের স্বার্থকে সমানভাবে মূল্যায়ন করা। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এ কাজে কতটা সফল হবেন তা প্রশ্নাতীত নয়। আমেরিকা র্যাবের উপর স্যাংশন জারি করার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দৌড়-ঝাঁপ কম করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মন্ত্রীর গদগদ ভাষণও শোনা গেছে। তিনি ‘যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ঋণী’ এমনও বলেছেন। সেই সব আশাবাদ কাজে আসেনি। এখন ভারতের কাছে ধর্ণা দিতে হয়েছে। আমরা এটাও জানি না এই ধর্ণা জাতির জন্য লজ্জাকর না গৌরবময়।