১/১১ দিনে নতুন মন্ত্রিসভা: বিএনপির সুবোধ বালকদেরও গৃহপ্রবেশ!
মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৪
মো: ওবায়েদ উল্যাহ ভূলন
মো: ওবায়েদ উল্যাহ ভূলন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে নতুন মন্ত্রিসভা শপথগ্রহণ করেছে ১১ জানুয়ারি। অপরদিকে বিএনপি এবং তাদের সহযোগী পাঁচ ডজনেরও অধিক রাজনৈতিক দল সুবোধ বালকের মতো ঘরে ফিরেছে।
বিএনপির নেতারা হাতুড়ির আঘাতে তালা ভেঙে নয়া পল্টনের অফিসের গেট খুলেছেন। এর পর (১১ জানুয়ারি) অজ্ঞাত স্থান থেকে দিনের পর দিন হরতাল-অবরোধ-অসহযোগ-গণকারফিউ কর্মসূচি ঘোষণাকারী নেতা রুহুল কবির রিজভী প্রকাশ্যে এসে দলবল নিয়ে অফিসের ভেতরে আসন নিলেন। বিকালে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের তিন নেতা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন- শেখ হাসিনা জোরজবরদস্তি করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন।
একই দিনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে- বিএনপির সাবেক চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ঘরে ফিরেছেন। যদিও বন্দিত্ব ঘোচেনি, তবে নিজ গৃহে প্রবেশ তো বটে!
দিনটি ১১ জানুয়ারি। ১৭ বছর আগে ২০০৭ সালের ‘ওয়ান ইলেভেনের’ স্মৃতি আমরা স্মরণ করতে পারি। বিএনপির ক্ষমতা হারানোর দিন ছিল সেটি। যদিও আগের বছর ২৮ অক্টোবর খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহমদের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েছিলেন, কিন্তু রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে ক্ষমতা ছিল তাদেরই হাতে। কয়েকদিন যেতে না যেতেই রাষ্ট্রপতি নিজেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন। তারও কয়েকদিন পর তিনি বলেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, তিনি রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার পরিচালনা করছেন। সাধারণ নির্বাচনের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ নয়, তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। শেখ হাসিনার লগি-বৈঠার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখ ক্ষমতা চলে যায় বিশেষ ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে। রাষ্ট্রপতি জরুরি আইন ঘোষণা করে নিজেকে ‘ক্ষমতাহীন’ রাষ্ট্রপতি করে ফেলেন। সরকার পরিচালনার ভার পড়ে ড. ফকরুদ্দীন আহমদের হাতে, যে সরকারের পেছনে ছাতা ধরে ছিল সশস্ত্র বাহিনী।
১৭ বছর পর সেই ‘ওয়ান ইলেভেনেই’ বিএনপির নখঃদন্তহীন হয়ে ‘গৃহপ্রবেশ’। কাকতালীয় বৈকি! হয়ত দলের অতিউৎসাহী একটি মহল ভেবেছিল- নতুন রাজনৈতিক দৃশ্যপট আসল বলে, ক্ষমতায় বদল ঘটছে।এ প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
সরকারি দলের ইশতেহারের শিরোনামে এসেছে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন ও কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থানের জন্য চাই শিল্পায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার। রূপকথার গল্পে আছে- ‘নতুন কারখানা মাথা তোল’ বলার সঙ্গে সঙ্গে শিল্প প্রতিষ্ঠান গজিয়ে ওঠে, হাজার হাজার শ্রমিকের কাজে শুরু হয় উৎপাদন। বাস্তবে এটা সম্ভব নয়।