কিশোর রাজু মিয়া ঐ গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের নাতী।
স্থানীয়রা জানান, জন্মের পর রাজু মিয়ার বাবা মারা গেলে বিধবা মা অন্যত্রে নিকাহ করে সেখানেই রয়েছে। কেউই না থাকায় তার নানী সমস্তভানের লালন-পালনে বেড়ে ওঠা রাজুর জীবনে দুঃখের অন্ত নেই। বৃদ্ধা নানী সমস্তভান ভিক্ষাবৃত্তির সংসারে অর্ধাহার-অনাহারে দিনাতিপাত করেন নানী-নাতী।
ইউপি সদস্য রানা মিয়া জানান, সেহরী খেয়ে ঘুমানোর পর সকালে রাজুকে ঘুমেই রেখে নানী ফিতরা আদায়ের জন্য চলে যান। অন্য পাড়া-গায়ে। দুপুরে নিজের টিনের চালাঘরে গলায় গামছা পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় রাজুর লাশ দেখে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা।
থানার এসআই রুহুল আমিন জানান, লাশের সুরুতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ জানান, মৃত্যুর কারণ নিশ্চয়নে মৃতদেহ মর্গে পাঠানোসহ আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।