বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ডিজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, হঠাৎ করেই বাতাসের গতি বাড়তে থাকে এবং একপর্যায়ে তা কালবৈশাখী ঝড়ে রূপ নেয়। এমন পরিস্থিতিতে ফেরি চালানো কোনোভাবেই নিরাপদ ছিল না। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ১২টা থেকে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তবে রাত দেড়টার দিকে বাতাসের গতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।
নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী আরও জানান, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকাকালে মাঝ নদীতে মতিউর, বাইগার ও কপতি নামের তিনটি ফেরি নোঙর করা ছিল। এ সময় মাঝ নদীতে নোঙর করা তিনটি ফেরির যাত্রী, যানবাহনের চালক ও শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। এ ছাড়া পাটুরিয়া ঘাটে সাতটি ও দৌলতদিয়া ঘাটে তিনটি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়।
নাসির মোহাম্মদ জানান, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় নৌরুটের উভয় ফেরিঘাট এলাকায় বেশ কিছু যানবাহন আটকা পড়ে। আটকাপড়া যানবাহনের মধ্যে অধিকাংশই ছিল পণ্যবাহী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর অপেক্ষমাণ যানবাহনগুলো নৌরুট পার হয়।