পাশাপাশি ভোটার তালিকা আইনের বিষয়ে আরও গবেষণা করে পর্যালোচনা মতামত কমিশনে উপস্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে তৃতীয় কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ মন্তব্য করেন।
তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাকিদের সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, কমিশন সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ১১টি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, সভায় বেশ কিছু বিষয় আলোচনা হয়েছে। মূলত আমরা বেশ কিছু কমিটির গঠন করেছি।
ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ এর পর্যালোচনার বিষয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের মনে হয়ে, এটা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রযেছে। সুতরাং সংশ্লিষ্ট কমিটিকে আরও পর্যালোচনার জন্য দেওয়া হয়েছে। দেশের জনসাধারণের শহরমুখী প্রবণতা রয়েছে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে করলে শহরের দিকে আসন সংখ্যা বাড়বে, অন্য এলাকায় কমে যাবে। সেটা সঠিক রিপ্রেজেন্টেশন হবে না বলে কমিশন মনে করে। ভোটার তালিকা আইন আরও পর্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ইসিকে।
সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১ পর্যালোচনার বিষয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, বর্তমানে যে আইনটি রয়েছে, এর দুটো বিষয় সমস্যার সৃষ্টি করছে। মূলত জনসংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে এ সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি করা হয়। আমরা করতে চাচ্ছি-ভৌগলিক আয়তন, অবস্থান, সর্বশেষ জনশুমারি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণ করার।
এ কমিশনার বলেন, একটি উপধারায় করণিক (টাইপিং মিসটেক) ভুল রয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশন কিছুই করতে পারবে না। আসলে সেটা হওয়ার কথা নয়। আমরা সমস্যাটি তুলে ধরে সংশোধনের (সরকারের কাছে) জন্য লিখব।
যে কারণে সীমানা নির্ধারণে সংশোধন চায় ইসি
সীমানা নির্ধারণ আইনের বিষয়ে ইসি সুপারিশ আকারে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আগে আমাদের কমিশনে আসুক, তারপরে কমিশন মনে করলে পাঠাবো। আমরা যেগুলো পাঠাবো- সীমানা নির্ধারণের ভুলটা।
এ নির্বাচন কমিশনার জানান, আইনের ধারা ৮ এর উপধারা ১, ২, ৩ এ- ইসি যে গ্রাউন্ডে সীমানা নির্ধারণ করতে পারে, বিশেষ কারণে এবং যা-ই থাকুক ১ উপধারা করতে পারবে না- বলা রয়েছে। ৮ এর ২ লিখতে গিয়ে ১ লেখা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার জানান, সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে ৪১টি আসনে ইতোমধ্যে ২৪৮টি আবেদন জমা পড়েছে। এসব নিষ্পতির জন্য অপেক্ষা করছি আমরা। সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত কি সিদ্ধান্ত আসে সংস্কার কমিশনেরও সুপারিশ রয়েছে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, সংশ্লিষ্ট কমিটি পরবর্তী কমিশন সভায় উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। তাদের প্রস্তুতি জানাবে। এখনও আমরা আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না; ইসিকে ওয়েট করতে হচ্ছে সিদ্ধান্তের জন্য।